নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও রুহুল আমিন নামক এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরে সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এর জের ধরে পরে বিকালে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এসময় তোফাজ্জল হোসেন নামে এক গণমাধ্যম কর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়।
আহত গণমাধ্যমকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী মোস্তাক শাওন বলেন, তোফাজ্জলের অবস্থা ভালো না। ধারণা করা যাচ্ছে তার হাত এবং মাজার হাড় ভেঙে গেছে। তাকে নিয়ে খানপুর হাসপাতালে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিকালে আওয়ামী লীগ নেতা মতির লোক রুহুল, সাজ্জাদ, পাকনা বাবু, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা হয়। এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ ৪ থেকে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরান থানার সামনে ৩-৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে আহত করে। পাশাপাশি আমার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়েন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক