সরেজমিনে দেখা যায়, নাদিরার টমেটো খেতে থোকায় থোকায় কাঁচা-পাকা বাহারি রংয়ে টমেটো ঝুলে আছে। এমন দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে যায়।
নাদিরার স্বামী সোজাউদ্দৌলা কলিম বলেন, ‘আমরা তরমুজের খেতে সাথী ফসল হিসেবে টমেটোর চাষ করেছি। এতে ভালোই লাভবান হয়েছি।’
এ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘নাদিরা আপাকে দেখে বেকার নারীদের শিক্ষা নেয়া দরকার, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবাইকে সেবা দিতে চাই।’
উদ্যোক্তা নাদিরা সুলতানা বলেন, টমেটো চাষে আমার ব্যয় হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আর আয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এর আগে ২০১১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি কাজ শুরু করেন নাদিয়া। আলু চাষের মাধ্যমে যার শুরু। তবে সেবার ১ বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে আলু চাষে উপার্জন মাত্র ২০ হাজার টাকা।
কিন্তু থেমে থাকেনি নাদিরা। পরে একে একে তরমুজ, ভুট্টা, আলু, মাছ, টমেটোসহ হরেক ফসল চাষ করে প্রতিটা চাষেই সফল হয়েছেন তিনি।
নাদিরার কৃতিত্ব: ২০১৭ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২৫ বছর পূর্তিতে সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পেয়েছেন ক্রেস্ট অব ম্যারিট। ২০১৯ সালে যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সেরা কৃষক পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
শুধু যশোরের নাদিরা সুলতানা নয়, সারা দেশে ঘরে ঘরে তৈরি হোক এমন নাদিরা সুলতানা এটাই সকলের প্রত্যশা।