যশোর
যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে খুন, গ্রেপ্তার ২
যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন পরিকল্পিতভাবে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) শার্শা থানার কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের পরদিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে নিহত জামাল হোসেনের পিতা আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এএসপি নাহিয়ান বলেন, মাদক বাহন ও মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে জামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে কৌশলে পিটিয়ে হত্যা হয়েছে। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে জামাল হোসেন সড়ক দুর্ঘটনার মারা গেছে—এমন নাটক সাজায় হত্যাকারীরা।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শার্শা উপজেলার উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
নিশাত আল নাহিয়ান আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তকালে আসামি আমানত উল্লাহ ও জাহিদ হোসেনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় জাহিদ হোসেন ভিকটিম মৃত জামাল হোসেনের বাড়িতে এসে মিন্টুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে জামাল হোসেন ও জাহিদ হোসেন জনৈক শফির ভাটা সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় উপজেলার শিবনাথপুর (বিলপাড়া) গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জাহিদুল (৩৫) এবং উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবুর রহমান তবির ছেলে আলাউদ্দিন (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে হাফিজুর (৪০) মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও খালেকের ছেলে জুম্মান (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন। জাহিদুল নামে এক যুবক বাশ দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করেছিল। পরে অন্যরা তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জৈনক শফির ভাটার পাশ থেকে পুলিশ জামাল হোসেনের (২৫) লাশ উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী জামাল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাদপুর এলাকার আয়ুব হোসেনের ছেলে।
৮ দিন আগে
যশোরে বাসচাপায় বাবা-মেয়ে নিহত, হাসপাতালে আরেক মেয়েসহ মা
যশোর শহরতলীর পুলেরহাটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মা ও আরেক মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকালে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— খুলনার মুজগুন্নীর রুবেল হোসেন (৩২) ও তার বড় মেয়ে ঐশি (১০) ।
আহতরা হলেন— রুবেলের স্ত্রী জেসমিন (২৮) ও ছোট মেয়ে তায়েবা (৪)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাসচাপায় মা ও ২ মেয়েসহ নিহত ৪, আহত ২
স্থানীয়রা জানায়, রুবেল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে খুলনার মুজগুন্নীতে ফিরছিলেন। পথে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রুবেল ও তার বড় মেয়ে ঐশী মারা যান। গুরুতর আহত হন রুবেলের স্ত্রী জেসমিন ও ছোট মেয়ে তায়েবা।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, ‘নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরও একই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বাসটির চালক ও হেলপারকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’
৯ দিন আগে
যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
যশোরের অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া এলাকা থেকে ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেন মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিন্টুর ছেলে।
অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাশ জানান, ঈদের দিন (৩১ মার্চ) ভৈরব ব্রিজের পূর্ব পাড়ে চটপটি ও ফুচকা বিক্রির অস্থায়ী একটি দোকান নিয়ে বসেন মনির হোসেন। সেখানে ঘুরতে যাওয়া বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা তার দোকান থেকে ফুচকা খান।
আরও পড়ুন: ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু হাসপাতালে
পরবর্তীতে গভীর রাত থেকে পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি, ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন তারা।
ওসি বলেন, পরদিন (১ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
তিনি জানান, এ বিষয়টি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় ফুচকা দোকানিকে আটকের অভিযান শুরু করে থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে ফুচকা বিক্রেতা মনিরকে আটকের পর মাওলানা তানজিম হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে থানায় নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা করেন।
এ মামলায়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মনিরকে যশোর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
১০ দিন আগে
যশোরে অ্যাম্বুলেন্স-ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৩
যশোরের ঝিকরগাছায় অ্যাম্বুলেন্স ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের সংঘর্ষে শিশু ও নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নবীনগর মোল্লা ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাভারণ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি বেনাপোল থেকে যশোরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ভ্যানটি আসছিল। তখনই মুখোমুখি এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের তিন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত ও আরও এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টরের চালক নিহত
অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হলেও তার চালক পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি। ওসি রোকনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পরপরই ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ও নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরও জানান, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২৫ দিন আগে
যশোরে বাড়িতে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা
যশোরে মীর সামির সাকিব সাদী (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের মুড়িব সড়ক জয়ন্তী সোসাইটির পেছনে নিজ বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে।
নিহত সাদী ওই এলাকার মীর শওকত আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
নিহতের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি ও সাদী বাড়ি ফেরেন। বাড়ির উঠানে মোটরসাইকেল তোলার সময় পেছন থেকে সাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর তাকে গুলি করে। এক রাউন্ড গুলির পর গুলি বের হচ্ছিলো না। এ সময় তিনি ওত পেতে থাকা হামলাকারী সুমন, মেহেদীসহ তাদের সহযোগীদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে তারা আরও ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। তাদের ছোড়া দুটি গুলি সাদীর গলা ও বুকে লাগে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সাদী রেল বাজারের ইজারাদার। হামলাকারীরা বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করত। তাদের প্রশ্রয় না দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
তিনি আরও জানান, নিহত সাদী ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে যাদের নাম আসছে উভয়পক্ষই সন্ত্রাসী। সকলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। সাদীকে যারা হত্যা করেছে তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বহিষ্কৃত শহর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ তার পক্ষের লোকজন গা-ঢাকা দেয়। সম্প্রতি সাদীসহ তাদের কেউ কেউ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাদী খুন হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর যশোর শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সহসভাপতি কবির হোসেন পলাশকে খুন করে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর সময় শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনার আহত হন সাদী।
দুর্ঘটনায় তার এক পা কেটে ফেলতে হয়। এক পা হারিয়েও ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী পরিচয়ে সাদী এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।
২৬ দিন আগে
যশোরে দেয়ালচাপায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত
যশোর বেজপাড়ার বনানী রোডে ড্রেন নির্মাণ করার সময় রাস্তার পাশে থাকা পুরাতন দেওয়াল ভেঙ্গে চাপা পড়ে ডালিম নামে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নির্মাণ শ্রমিক ডালিম যশোরের চৌগাছা উপজেলার কালিয়াকুন্ডি গ্রামের মৃত আকবরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডোবার পানিতে পড়ে ২ বোন নিহত
নিহতের সহকর্মীরা জানান, যশোর পৌরসভার ঠিকাদারের মাধ্যম শহরের বেজপাড়া বনানী রোডে ড্রেন নির্মাণ করার সময় রাস্তার পাশে থাকা পুরাতন দেয়াল হঠাৎ ভেঙে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন ডালিম। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
৩৫ দিন আগে
যশোরে খালুর দুই চোখ উপড়ে পালালো যুবক
যশোরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে খালুর দুই চোখ উপড়ে ফেলে পালিয়েছে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে যশোর শহরের বকচর করিম তেল পাম্প এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত সাদ্দাম শহরের বকচর করিম তেল পাম্প এলাকার শাহজামালের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলা ঘটে। আহত শহিদুল ইসলাম বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শহিদুলের ছেলে বলেন, ‘তার বাবা কৃষি কাজ করেন, আর খালাতো ভাই সাদ্দাম ট্রাক ড্রাইভার ও মাদকাসক্ত। ঘটনার রাতে সাদ্দাম হঠাৎ তার বাবার ওপর হামলা চালায়।’
‘ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার বাবার দুই চোখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। দ্রুত বাবাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সেতুর নিচে খালে পড়ে ছিল হাত-পা বাঁধা নারীর লাশ
শহিদুলের মেয়ে মারুফা বলেন, ‘তার বাবা ও প্রতিবেশী তৌহিদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেওয়া হচ্ছিল।’
মারুফার দাবি, সাদ্দামের সঙ্গে তৌহিদের সখ্যতা ছিল ও তৌহিদের পরিকল্পনায় সাদ্দাম তার বাবার ওপর হামলা চালায়। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীদের ধরতে টিম মাঠে নেমেছে। তদন্ত চলছে।’
৩৭ দিন আগে
যশোরে গাছের সুরক্ষায় পেরেক অপসারণ কর্মসূচি
যশোর সামাজিক বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষায় গাছ সুরক্ষা (পেরেক অপসারণ) কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক মো. রফিকুল হাসান মুন্সি মেহেরুল্লাহ সড়কে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন, নিষিদ্ধ হচ্ছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া’
আরও উপস্থিত ছিলেন— যশোর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অমিতা মণ্ডল, যশোরের সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল ওয়াহিদ সরদারসহ যশোর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মাসব্যাপী চলমান এই কর্মসূচির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে যশোর জেলার অন্যান্য গাছগুলো থেকে পেরেক অপসারণ করা হবে। আজ থেকে যশোর জেলাসহ বাংলাদেশের ২৮টি জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
৪৬ দিন আগে
যশোরে বিপুল পরিমাণ রুপার অলংকারসহ আটক ২
যশোরে অভিযান চালিয়ে ৭০ কেজি ৫০০ গ্রাম রুপার অলংকারসহ দুজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শার্শার নাভারণে সাতক্ষীরা মোড় থেকে এসব অলংকারসহ তাদের আটক করা হয়। জব্দ করা অলঙ্কারের বাজারমূল্য ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মতো বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আটকরা হলেন— জাহাঙ্গীর কবির লিটু ও মেহেদী হাসান। তারা দুজনেই উপজেলার বাগআঁচড়ার বাগড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ১৮টি স্বর্ণের বার পাচারকালে ভারতীয় নাগরিক আটক
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, গোপন সংবাদ পাই যে, লিটু ও মেহেদী নামে দুজন ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ রুপার বড় একটি চালান নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশে একটি বাসে রওনা দিয়েছেন। সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল শার্শার নাভারণে সাতক্ষীরা মোড়ে বাসটিকে তল্লাশি করে ৭১টি প্যাকেট থেকে বিভিন্ন প্রকার রুপার অলংকার জব্দ করে।
৫০ দিন আগে
ভারত থেকে চাল আসছেই, তবুও দাম কমার লক্ষণ নেই যশোরে
ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গত তিন মাসে আমদানি করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৬৮ টন চাল। বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বেনাপোলসহ যশোরের বাজারগুলোতে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো স্থানীয় বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে প্রকারভেদে চালের দাম আগের থেকে কেজিপ্রতি এক-দুই টাকা বেড়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চাল আমদানির তথ্য জানানো হয়।
চাল আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে চাল আমদানি করতে পারবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমান সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে চালের দাম বেশি থাকায় আমদানি করা চালের দাম বেশি পড়ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
অটোরাইস মিলমালিক ও ধান ব্যবসায়ীদের দাবিও এটি।
তবে ক্রেতাদের দাবি, দেশে বর্তমানে ধান-চালের কোনো সংকট নেই। মাসখানেক আগে কৃষকের ঘরে উঠেছে আমন ধান। তারপরও সাধারণ মানুষকে বেশি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে। এতে অনেকে আর্থিক সংকটে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাগালের বাইরে চাল ও তেলের দাম
কম দামে চাল না কিনতে পেরে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় দাম কমছে না বলে মনে করছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানান তারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, খেটে খাওয়া মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন নিত্যপণ্যের পাশাপাশি বাড়ছে চালের দামও। বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে তার দাম সম্প্রতি বাড়েনি।
আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিন মাসে বেনাপোল দিয়ে ১৩ হাজার ৯৬৮ টন চাল আমদানি হয়েছে। সরকার গত ১৭ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়। এ সময়ের মধ্যে আশানুরূপ আমদানি না হওয়ায় সময় বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। তাতেও দেশের বাজারে চালের দাম না কমায় ভারত থেকে আমদানির জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত এক মাস সময় বাড়িয়েছে সরকার।
তাই খুব শিগগিরই চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা।
নাভারণ বাজারের সবচেয়ে বড় চালের আড়ত চৌধুরী রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘মোটা চাল ৫১ টাকা ও স্বর্ণা মোটা চাল ৫৩ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে, আমদানিও স্বাভাবিক রয়েছে; তাই সামনে দাম কমবে।’
এবার অতিবৃষ্টির কারণে ধানের উৎপাদন কমেছে বলে চাল আমদানি করতে হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
সরেজমিনে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার কয়েকটি রাইস মিলে গেলে মিল মালিকরা জানান, এবার আশানুরূপ ধান কিনতে পারেননি তারা। দাম বাড়ার আশায় কৃষক ধান মজুত করে রেখেছেন। ফলে বিভিন্ন জেলা ঘুরে ধান সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাদের। আর এতে ধানের ক্রয়মূল্য বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তারা বলেন, সব খরচ মিলিয়ে কেজিপ্রতি ধান থেকে চাল করতে খরচ পড়ে যাচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। চিকন চালের ক্ষেত্রে তা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬৩ টাকা।
৫৭ দিন আগে