যশোর
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
৪ দিন আগে
চার দিবস সামনে রেখে সেজে উঠেছে ‘ফুলের রাজধানী’ গদখালি
নববর্ষসহ চার দিবসকে সামনে রেখে উৎসবের আমেজে সেজে উঠেছে ‘ফুলের রাজধানী’ খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি। আসন্ন নতুন বছরকে কেন্দ্র করে গদখালিতে বিপুল অঙ্কের ফুল বিকিকিনি হবে বলে আশা করছেন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর গদখালিতে ৬৩৮ হেক্টর জমিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুলের চাষ করেছেন চাষিরা। শীতকালের এই সময়টাকে ফুলের ভরা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই মৌসুমেই খ্রিস্টীয় নববর্ষ, বসন্ত উৎসব, ভ্যালেন্টাইন্স ডে ও শহীদ দিবস লক্ষ্য করে চাষিরা ফুলখেতের নিবিড় পরিচর্যা করে থাকেন।
গদখালির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই ফুল তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। ভোর থেকেই রঙিন ফুলের ঝুড়ি নিয়ে বাজারে ভিড় করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মোকাম। তাই গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর রজনীগন্ধার গুচ্ছ ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাঁদা হাজার প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গোলাপ প্রকারভেদে প্রতিটি ৪ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
৪ দিন আগে
আগামীকাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল (মঙ্গলবার) যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত চালু থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে আগামী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
৬ দিন আগে
যশোরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান (৫৫) নামে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
মিজান যশোরের শার্শা উপজেলার গাতিপাড়া আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার দিকে কারাগারের ভেতরে কার্পেট চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন মিজান। সেখানে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় আটক হয়ে কারাগারে যান মিজান। কারাগারের কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন তিনি। কিন্তু গোপনে তিনি কার্পেট চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিবুল ইসলাম জানান, রক্ষীরা মৃত অবস্থায় এক কয়েদিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৮ দিন আগে
যশোরে পাঁচ দিনব্যাপী ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন শুরু
যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উদ্যোগে বুধবার (১০ডিসেম্বর) ভ্যাট দিবস উদযাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘ভ্যাট সপ্তাহ’।
এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট যশোর কমিশনারেট প্রাঙ্গণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সময়মত নিবন্ধন নেব, সঠিকভাবে ভ্যাট দেব’।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, দেশের মোট রাজস্ব আয়ে ভ্যাটের অবদান সর্বাধিক। ভ্যাটের প্রবৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ইতিবাচক সূচক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি যথাযথ ভ্যাট প্রদানের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থনৈতিক মুক্তির পথ সুগম করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ইনকাম ট্যাক্স অফিসে না এসে করদাতারা বাসায় বসেই এখন কর জমা দিচ্ছেন। এতে কর গ্রহীতার বিরুদ্ধে বিগত সময় যে সব অভিযোগ উঠেছে সেটা অনেকাংশেই কম হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শেখ আবু ফয়সল মো. মুরাদ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে সরকার নিয়মিতভাবে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ পালন করছে, যাতে ভ্যাট ব্যবস্থায় সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, অটোমেশনে ঘাটতি, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট পদ্ধতি, রেয়াত–শৃঙ্খলার অসংগতি ও ই–কমার্স থেকে ভ্যাট আহরণে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যশোর কমিশনারেট রাজস্ব আদায়ে সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, ই–রিটার্ন, ই–রিফান্ড, ই–অডিট, ই–পেমেন্ট, ইএফডি ও ভ্যাট স্মার্ট চালানের মতো আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার সুবিধা ব্যবহারে ব্যবসায়ীরা আরও উৎসাহী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ভ্যাটের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান। রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক ভূঁইয়া ও স্কুল শিক্ষিকা শিলা দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর কর অঞ্চলের কমিশনার মো. মাসুদ রানা, বেনাপোল কাস্টমস হাউস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান এবং যশোর প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। এ ছাড়াও ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিশেষ অতিথিরাও উক্ত সভায় জাতীয় অর্থনীতিতে ভ্যাটের গুরুত্ব তুলে ধরে সঠিক ভ্যাট আদায়ে সকল পক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক টিভিসি প্রচার করছে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট। অংশীজনদের সহযোগিতায় চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের সহকারী কমিশনার পিয়াল দত্ত।
১০ দিন আগে
যশোরে যুবক খুন, পকেটে পাওয়া গেল ৬১ পিস ইয়াবা
যশোরে তানভীর (২২) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে ঘটে এ ঘটনা।
নিহত তানভীর শহরের শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম রিপন জানান, তানভীর ক্যাম্পের পেছনের দিক থেকে দৌড়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে যান। পরে কয়েকজন নারী তাকে দেখতে পেয়ে রিকশায় তুলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তল্লাশি করে তানভীরের পকেট থেকে ৬১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শংকরপুর বেলের মাঠ এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমা ও একটি চাকুসহ নাঈম ও সাজু নামে দুই যুবককে আটক করে। সে সময় তানভীর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
আটক দুই যুবকের ভাষ্যমতে, উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো তানভীরের ছিল। পালিয়ে তিনি বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে অবস্থান নিলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
১৪ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধ: যশোর মুক্ত দিবস আজ
আজ ৬ ডিসেম্বর, যশোর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত হয় যশোর।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকেই জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি সকাল থেকেই শুরু হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর ছিল কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চৌগাছা উপজেলার সলুয়া বাজারে পাকিস্তানি বাহিনী অগ্রবর্তী ঘাঁটি তৈরি করেছিল। অন্যদিকে, যশোর সেনানিবাসের তিন দিক ঘিরে অবস্থান নেন মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যোদ্ধারা। প্রতিরোধ যুদ্ধের শেষ দফার অভিযান চলে টানা তিন দিন—৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর। এই সময়ে যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তুমুল যুদ্ধ হয়।
মিত্রবাহিনী সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালায়। যুদ্ধের চাপে পর্যুদস্ত পাক সেনারা ৫ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকেই যশোর ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নেয়। সেদিন পাকিস্তানের নবম ডিভিশন ও ভারতীয় নবম পদাতিক ও চতুর্থ মাউন্টেন ডিভিশনের মধ্যে ভয়াবহ লড়াই হয়। বিকেলেই পাকবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন যে যশোর দুর্গ আর কোনোভাবেই রক্ষা করা সম্ভব নয়।
১৫ দিন আগে
যশোরে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে শীতকালীন সবজি চারা, পোঁছে যাচ্ছে সারা দেশে
যশোর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই রাস্তার দুই পাশে চোখে পড়বে সবজির চারা উৎপাদনের এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। রাস্তার দুই পাশেই পলিথিন দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয়েছে বীজতলা ঢেকে রাখার অস্থায়ী দৃষ্টিনন্দন সাদা পলিথিনের ছাউনি। দূর থেকে প্রথম দেখাতেই মনে হবে, হয়তো কোনো বড় অনুষ্ঠানের জন্য সাদা ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
বৃষ্টি ও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সেই পলিথিন দিয়ে বীজতলার শেডগুলো কেউ কেউ ঢেকে দিচ্ছেন। আবার কেউ নারী-পুরুষ মিলে বীজ রোপণ করছেন। কেউ মাটি ফুঁড়ে বের হওয়া চারাগুলোতে ঝাঝরি দিয়ে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন বিপণনের জন্য।
এমনই অপরূপ দৃশ্য দেখা যায় যশোর সদর উপজেলার আব্দুলপুর ও বাগডাঙ্গা গ্রামের মাঠে। গ্রাম দুটি অনেক আগেই সবজি চারার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
চারা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই গ্রামের আড়াই থেকে তিন শতাধিক কৃষক প্রতি মৌসুমের ছয় মাসে বিভিন্ন সবজির প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি চারা উৎপাদন করেন, যা বিক্রি করেন প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকায়। এসব চারা বিপণন করা হচ্ছে সারা দেশে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, বিটকপি, শালগম, টমেটো, মরিচসহ বিভিন্ন সবজির মানসম্মত এসব চারা কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা আসছেন এ দুই গ্রামে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ডাকবাক্স হয়ে উঠছে গল্প, যোগাযোগে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দূর-দূরান্তের জেলা থেকে কৃষকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সবজি চারা নিয়ে যাচ্ছেন এখান থেকে। মানসম্মত চারা হওয়ায় এর সুনাম ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও।
চারা উৎপাদনকারী আব্দুলপুর গ্রামের রেকান মিয়া জানান, আজ থেকে ২০ বছর আগে এখানে চারা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়। তবে গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে এখানে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এ বছর অধিক বৃষ্টির কারণে কয়েকবার চারা উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।
তাছাড়া বীজ, সার, শ্রমিকের মজুরি ও পলিথিনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানকার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতো বলে জানান তিনি।
বাগডাঙ্গা গ্রামের সাদ্দাম হোসেন জানান, এখানকার উৎপাদিত চারা বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ জেলাতেই বিক্রি হয়ে থাকে। অনলাইনে ও অফলাইনে এসব চারা বিক্রি হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চাষি ও ব্যবসায়ীরা এখান থেকে চারা কিনে নিয়ে যান।
এছাড়া সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে চারার হাট বসে। সেখানেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে চারা কিনে নিয়ে যান।
মামুন হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে ভালো মানের প্রতি হাজার ফুলকপির চারা এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং বাঁধাকপির চারা মানভেদে ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, ব্রকলি, শালগম, বেগুন, টমেটোসহ শীতের সব ধরনের সবজির চারা এখানে উৎপাদন হয়ে থাকে। বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদনের কারণে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ খাতে আরও বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ
চারা উৎপাদন কর্মী সোহানা খাতুন জানান, তার মতো অনেক নারীই বছরের ছয় মাস বীজ বপন ও চারা উত্তোলনের কাজ করে থাকেন। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন সবজির বীজ বপন শুরু হয়। প্রায় দেড় মাস পর চারা বিক্রির উপযোগী হয়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে চারা বিক্রি। এই সময়টা তাদের যথেষ্ট কাজের চাহিদা থাকে।
তিনি আরও জানান, এক পাতা বীজ বপনের জন্য তারা ৩৫ টাকা করে পান। সেই অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করতে পারেন। আর চারা উত্তোলনের জন্য হাজিরা হিসেবে একজন নারী কর্মী সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে পান।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সারা দেশেই এই অঞ্চলের সবজি চারার সুনাম রয়েছে। আব্দুলপুর ও বাগডাঙ্গায় মৌসুমের ছয় মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি সবজি চারা উৎপাদন হয়। এ খাত থেকে ছয় মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকায় কৃষকদের আয় হয়।
তবে চারা উৎপাদনকারী কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, চারা উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং বাজার সংযোগে (মার্কেট লিংকেজ) তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
৬৪ দিন আগে
যশোরে ছুরিকাঘাতে আ.লীগ নেতা নিহত
যশোরের মনিরামপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আশরাফুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় তারেক নামে অপর আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে হবির চিড়ার মিলের সামনে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের আজহার আলী মাস্টারের ছেলে এবং মোবারকপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশরাফুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও রাজগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকানে সময় কাটাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে তার ওপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
রাজগঞ্জ এলাকার কয়েকজনর বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আশরাফুল রাজগঞ্জ বাজারে হবির চিড়ার মিলের সামনে একটি চায়ের দোকানে নিয়মিত সময় কাটাতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যার পর তিনি ওই চা দোকানে এসে বসেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার ওপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে তার ওপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
আশরাফুলের ওপর হওয়া হামলা ঠেকাতে গেলে ওই দোকানে বসে থাকা তারেক নামে অপর এক ব্যক্তিকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি পর সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারলে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দোষীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
১১২ দিন আগে
যশোরে পাঁচটি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যশোরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫৮৫ গ্রাম ওজনের পাঁচটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে। এ সময় মো. রুবেল (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর-খুলনা মহাসড়কের মুড়লি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর একটি টহলদল।
আটক রুবেল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার বাসন্ডা গ্রামের বাসিন্দা।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, রুবেলের কোমরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল স্বীকার করেছে, সে ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে যশোর হয়ে বেনাপোল সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল।
বিজিবি জানান, আটক রুবেলের কাছ থেকে ৫৮৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার ছাড়াও নগদ ৩ হাজার ৯৯৫ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৮৬ লাখ ৬ হাজার ৫২০ টাকা। মোবাইলের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা। সর্বমোট জব্দ হওয়া সামগ্রীর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ টাকা।
আটক রুবেলকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় স্বর্ণ, মাদক, হুন্ডি, অস্ত্র ও অন্যান্য চোরাচালানি পণ্যের বিরুদ্ধে বিজিবির বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।
১২১ দিন আগে