আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুমন শিকদার মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুসাকে নিয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল ওমান থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
গত ৬ জুন তিন পুলিশ সদস্য-ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার, ডিবির (মতিঝিল জোন) শহিদুর রহমান রিপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়েজ উদ্দিন মুসাকে দেশে আনার জন্য মাস্কাটে যান।
ডিবি পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার জন্য শামীম মোল্লাকে ভাড়া করে ১২ মার্চ দুবাই যান মুসা। পরে তিনি ওমানে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: আ’লীগ নেতাসহ ৫ জন রিমান্ডে
বাংলাদেশ ডিবি পুলিশের অনুরোধে ১৭ মে ওমান পুলিশ মুসাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২৪ মার্চ রাতে ইসলামী ব্যাংকের সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সামিয়া আফরিন প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে টিপুর গাড়ির চালকও আহত হন।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল গাড়িতে করে এবং প্রীতি রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় রাত সোয়া ১০ টার দিকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
তারা সবাই যানজটে আটকা পড়েছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন ১ দিনের রিমান্ডে
পরদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়।
গত ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে এ ঘটনার প্রধান আসামি আকাশকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার একটি আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকাশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মুসা, এছাড়া আরফান, শামীম ও মানিক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া শামীম হত্যার পর ভুটানে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার