ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। এদিন ৮টি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসিসর সদস্য এবং প্রক্টোরিয়াল টিম থাকবে। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশপথে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
মঙ্গলবার(২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করা হয়।
সভায় রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
এসময় আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং ভোটগ্রহণের পর, ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত, ভোটকেন্দ্র সেনা সদস্যরা ঘেরাও করে রেখে নিরাপত্তা দেবে। ভোট গণনার সময়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) এবং নির্বাচনের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে।
নির্বাচনের দিন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্পূর্ণরূপে সিলগালা থাকবে। বৈধ শিক্ষার্থী, স্বীকৃত সাংবাদিক এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ছাড়া কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
পড়ুন: ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রদর্শন বন্ধ থাকছে
নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে বাইরের কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। তবে, নারী শিক্ষার্থীদের হলে বাইরের কাউকে কখনও থাকতে দেওয়া হবে না।
ক্যাম্পাসের বাইরে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ভোটদানের জন্য বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হবে। এই বাসগুলোর সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বরাত দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যেই টহল দল ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে।