সাভারে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর লাশের দেহাবশেষ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সাভারের বিরুলিয়ার কমলাপুরের জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদরাসার একটি কবরস্থান থেকে হারিছ চৌধুরীর লাশ তোলা হয়।
লাশ উত্তোলনের তত্ত্বাবধান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূর।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর লাশ উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেয় ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের বিচার শাখা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিষ্টার সামিরা তানজীন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
হারিছ চৌধুরি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
বিএনপির এই নেতা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায়ে আসলে হারিছ চৌধুরী রাজধানীর পান্থপথে থাকতেন একটি ফ্ল্যাট বাসায় ছদ্মবেশে বসবাস করতে থাকেন। পরে ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে গোপনে তাকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা হয় সাভারে।
এ ঘটনার পর বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। পরে তার মেয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় হারিছ চৌধুরী প্রমাণিত হলে সিলেটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সাভার উপজেলার এসিল্যান্ড এসএম রাসেল ইসলাম নূর, আহমেদ মুঈদ, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজীন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।