বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রফিকুল আমীনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় এ দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এক হাজার ১৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২০৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়। এ মামলায় ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুলাই ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমীনকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেয় আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির এক পর্যায়ে ডেসটিনির লাগানো ৩৫ লাখ গাছের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেবেন- এমন শর্তে আপিল বিভাগ তাদের জামিন দেয়। গাছ বিক্রি করতে না পারলে নগদ দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। ওই শর্ত সংশোধন চেয়ে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রফিকুল আমীন।
ওই সময় শুনানিতে ডেসটিনির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘গাছ ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।’ এরপর ওই জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ফলে তাদের আর মুক্তি হয়নি।
গত বছর আবারও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একই সাথে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।