ডেসটিনি
ডেসটিনির নতুন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া
হাইকোর্টের নির্দেশে ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া।
একইসঙ্গে এর আগের চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন আহমেদের (এফসিএ) পদত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
মঙ্গলবার (২১ মে) ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে ফখরুদ্দিন আহমেদ (এফসিএ) পদত্যাগ করায় বোর্ডের সদস্যদের মতামত নিয়ে ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ফখরুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগপত্র মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২০১২ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এজিএম করার জন্য ডেসটিনির পরিচালনা পর্ষদের ১৬ জন অংশীদার আদালতে আবেদন করেছিলেন।
তারা হলেন- ডেসটিনির পরিচালক বিপ্লব বিকাশ শীল, মোহম্মদ জাকির হোসেন, মো. শাহিনুর হাওলাদার শাহীন, সাইফুল আলম রতন, জিএম গোলাম রাব্বানী, শামনুন এহসান শামীম, মাসুদা ইসমত আরা, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, খায়রুন নেসা, সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল, শাহজাদা আল মাহমুদ, হোসাইন আজাদ, কামরুল হাসান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড পুনর্গঠন করে দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এই বোর্ডকে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। বোর্ডে আগের ৯ জনকে রেখে ১৭ সদস্যের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে পুনর্গঠিত পরিচালনা পরিষদে চেয়ারম্যান ছাড়া নতুন সদস্য হিসেবে রাখতে বলা হয়, সাবেক জেলা জজ হাসান শহীদ ফেরদৌস, আইনজীবী মারগুব কবির, ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএ ও ব্যবসায়ী ইকবাল জামানকে।
গত বছরের ১৪ জুন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যারিস্টার মারগুব কবির। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা হাইকোর্টে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পরে ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হন ফখরুদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি ফখরুদ্দিন আহমেদও পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ এবং নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য ডেসটিনির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
৬ মাস আগে
ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হারুনের করা আপিল এক বছর পর শুনানির জন্য ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শাহীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় নিম্ন আদালতে হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পরে আপিল বিভাগও তার জামিন বহাল রাখেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় গত বছরের ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।
রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত হারুন-অর-রশিদকে সাজা কমিয়ে চার বছরের দণ্ডদেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
এই সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন সাবেক এই সেনা প্রধান। একই সঙ্গে তিনি জামিনের আবেদনও জানান।
গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সাবেক সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন।
পরে গত বছরের ২৯ জুন ৪ বছরের হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই বছরের ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। রবিবার ওই জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাত ও পাচারের মামলাটির বিচার শেষ হলও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলাটি এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
১ বছর আগে
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন চেয়ে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের নামে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় গত বছরের ১২ মে বিচারিক আদালত রায় দেন। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার তিনশ’ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
ওই মামলায় মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এক কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জরিমানা স্থগিত করেন।
আর ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন খারিজের পর মোহাম্মদ হোসেন হাইকোর্টে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
১ বছর আগে
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে বিচারিক আদালতের দেয়া এক কোটি ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে এম সরোয়ার হোসেন বলেন, এ মামলায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং দেড় কোটি টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইতোমধ্যে তার দশ বছর সাজা ভোগ শেষ হয়েছে। এখন জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হলো। এ প্রেক্ষিতে এ মামলায় তার কারামুক্তি পেতে কোন বাধা নেই। তবে ডেসটিনি ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না। তবে এ মামলায় তার জামিনের আবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল আমিন।
মামলা দুটির মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলাটির বিচার শেষ হয়েছে গত ১২ মে। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনসহ ৪৬ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, কোম্পানি প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে কারামুক্তি পান, অনেকে কারামুক্তির পথে। এছাড়া ৩৯ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
অন্যদিকে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি বিচারিক আদালতে এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির এমডি’র আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
২ বছর আগে
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড পরিচালনা বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
কোম্পানিটির ১০ জন শেয়ারহোল্ডার ডাইরেক্টরসহ ১৬ জন শেয়ার হোল্ডারের করা এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
পুনর্গঠিত বোর্ডে সাবেক জেলা জজ হাসান শাহেদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মারগুব কবীর, এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমদ ও সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী মো. ইকবাল জামানকে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে ডেসটিনির শেয়ার হোল্ডার ডাইরেক্টর বিপ্লব বিকাশ শীলসহ ১৬ জন শেয়ার হোল্ডার বাদী হয়ে কোম্পানির এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি কোর্টে আবেদন করেন।
আবেদন বলা হয়, ২০১১ সাল পর্যন্ত কোম্পানির নিয়মিত এজিএম হয়েছে। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোন এজিএম হয়নি। কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিন এবং বেশ কয়েকজন ডাইরেক্ট ফৌজদারি মামলায় আটক থাকায় এজিএম হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ২০০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত
আবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে কোম্পানিটি অবসায়নের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়ে একটি আদেশ দিলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত রেখেছেন। তবে কোম্পানি পরিচালানা ও এজিএম করা থেকে বিরত থাকার কোন আদেশ নেই। এ আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট বোর্ড পুনর্গঠন করে এজিএম করার অনুমতি দেন।
আদালতে এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এছাড়া এ আবেদনের বিরোধিতা করার জন্য এতে পক্ষভুক্ত হন কারাবন্দী ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন। রফিকুল আমিনের পক্ষে শুনানিতে ছিল আইনজীবী উজ্বল কুমার ভৌমিক।
পরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জানান, আদালত হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে দিয়ে বোর্ড পুনঃঠগঠন করে দিয়েছেন। এতে করে কোম্পানির যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা দূর হবে। হাইকোর্টে পুনঃর্গঠিত বোর্ডে পাঁচজনকে রাখতে বলেছেন। এছাড়া ৯ জন সদস্য বোর্ডে রয়েছেন। এখন এই পুনঃর্গঠিত বোর্ড ডেসটিনি পরিচালনা করবেন। তবে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা হতে হবে শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থে।
আরও পড়ুন: হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
২ বছর আগে
ডেসটিনির এমডি’র আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাকে ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২২ জুন এ আদেশ দেন। এ আদেশের বিষয়টি সোমবার রফিকুল আমীনের আইনজীবী উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক সাংবাদিকদের জানান।
আইনজীবী উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক বলেন, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাঁর ক্ষেত্রে ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে থাকা মামলার রেকর্ড (নথি) তলব করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ওই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেন। এর মধ্যে রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুন হাইকোর্টে আপিল করেন রফিকুল আমীন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাত ও পাচারের মামলার বিচার শেষে গত ১২ মে রায় দেয়া হয়েছে। অন্য মামলাটি বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
রায়ে ৪৬ সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন, এম হারুন-অর-রশীদ, জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক ও সাইফুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দিদারুল আলমের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণার পরই তিনি আদালত থেকে বাসায় চলে যান। এছাড়া মামলার বাকি ৩৯ আসামি পলাতক।
পলাতক ৩৯ আসামি হচ্ছেন- ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারাহ দীবা, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জমশেদ আরা চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. সাইদুল ইসলাম খান রুবেল, মজিবর রহমান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, সফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম ও সুনীল বরুন কর্মকর।
পলাতক আসামির তালিকায় আরও আছেন পরিচালক ফরিদ আক্তার, এসএম শহিদুজ্জামান চয়ন, আব্দুর রহমান তপন, মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ্লব, এএইচএম আতাউর রহমান, জিএম গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, সফিকুল হক ও মোল্লা আল আমিন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
২ বছর আগে
হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে দেয়া হয়েছে ১২ বছরের সাজা। বাকি ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কম সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ এটা হলো অর্গানাইজ ক্রাইম। এখানে কম বেশি দেয়ার সুযোগ নেই। তাই রফিকুল আমীন ছাড়া বাকিদের সাজা বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি আজ শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালত আগামীকাল সোমবারের কার্যতালিকায় আবেদনটি অন্তর্ভূক্তির আদেশ দিয়েছেন। আশা করছি এ সপ্তাহেই আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
চলতি বছরের ১২মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। হারুন-অর-রশীদকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সাড়ে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তা ব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচার শেষে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
২ বছর আগে
ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর রশিদকে জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট এ মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেফতারে আইজিপি পুলিশ, এসিসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্টদের রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন, এম হারুন-অর-রশীদ, জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক ও সাইফুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দিদারুল আলমের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণার পরই তিনি আদালত থেকে বাসায় চলে যান। এছাড়া মামলার বাকি ৩৯ আসামি পলাতক।
পলাতক ৩৯ আসামি হচ্ছেন- ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারাহ দীবা, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জমশেদ আরা চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. সাইদুল ইসলাম খান রুবেল, মজিবর রহমান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, সফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম ও সুনীল বরুন কর্মকর। পলাতক আসামির তালিকায় আরও আছেন পরিচালক ফরিদ আক্তার, এসএম শহিদুজ্জামান চয়ন, আব্দুর রহমান তপন, মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ্লব, এএইচএম আতাউর রহমান, জিএম গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, সফিকুল হক ও মোল্লা আল আমিন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের জামিন শুনানি পিছিয়েছে
২ বছর আগে
ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। তবে তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। মামলার নথি (রেকর্ড কল) তলব করেছেন। এছাড়া আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য আইজিপি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ডেসটিনি এমডির জামিন শুনানি শেষ, আদেশ ২৭ সেপ্টেম্বর
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে তাকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন সাবেক এই সেনা প্রধান। পাশাপাশি জামিনও চান।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির দুই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
২ বছর আগে
রিভিউ খারিজ, রফিকুল আমীনের কারামুক্তি মিলছে না
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের জামিনের আবেদন খারিজের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে রিভিউ খারিজের আদেশ দেন।
আদালতে বৃহস্পতিবার রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাঈদ আহমদ রাজা। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। শুনানিতে রফিকুল আমীনের আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড যে গাছ বিক্রি করে টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম সেই গাছ আর পাইনি। আর আইনে এই অপরাধে যতটুকু সাজা সে মেয়াদের সাজা এরই মধ্যে খাটা হয়েছে। কিন্তু বিচার শেষ করতে পারেনি। জামিনের আবেদনটি পুনর্বিবেচনা চাচ্ছি।’
তার এই আবেদনের বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আদেশের বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আপিল বিভাগ রফিকুল আমীনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শর্তই তিনি পূরণ করতে পারেননি। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরে রিভিউ করলে আপিল বিভাগ আজ তা খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তার জামিন আবেদন খারিজের আদেশই বহাল থাকল। আর টাকা ফেরত দিতে তার শর্ত সংক্রান্ত যে আদেশ ছিল সেটাও বহাল থাকলো। সর্বোপরি পূর্বের শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত তার কারামুক্তি মিলছে না।’
এর আগে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর ডেসটিনির রফিকুল আমিনসহ দুই কর্ণধারকে জামিনের আগে ২৮০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্ত দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ডেসটিনি ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের গাছ বিক্রি করে এই টাকা পরিশোধ করতে বলেন আপিল বিভাগ। অথবা অন্য কোনোভাবে ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধ করতে শর্ত দেয়া হয়। কিন্তু শর্তই পূরণ করতে না পারায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের জামিন আটকে যায় এবং তাদের কারাগারেই থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুটি মামলা করে। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে দুই হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যার মধ্যে দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। আর মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল এক হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।
পরবর্তীতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দুই মামলায় আসামিদের বিচার শুরু করে। তবে অভিযোগ গঠন হওয়ার আগেই ট্রি প্ল্যান্টেশনের অর্থ আত্মসাতের মামলায় পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান রফিকুল আমীন। কিন্তু দুদক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সে জামিন স্থগিত হয়ে যায়।
তবে পরবর্তীতে দুদকের আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমীনকে জামিন দেন। যেখানে শর্ত দেয়া হয় যে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রকল্পের গাছ বিক্রি করে ২৮০০ কোটি টাকা অথবা অন্য কোনোভাবে ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু শর্তই পূরণ করতে না পারায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের জামিন আটকে যায় এবং তাকে কারাগারেই থাকতে হয়।
এর পরেও হাইকোর্টে কয়েক দফা জামিন আবেদন করে ব্যর্থ হন রফিকুল আমীন। এক পর্যায়ে অর্থ পাচারের দুই মামলায় রফিকুল আমীনের জামিন আবেদন হাইকোর্ট সরাসরি খারিজ করে ছয় মাসের মধ্যে মামলা দুটি নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন আবেদন করলে রফিকুল আমীনের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। অবশেষে সে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ করলে তা আজ খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের এমডির ৩ বছরের জেল
২ বছর আগে