সম্পদের তথ্য বিবরণী জমা না দেওয়ার মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের এমপি রফিকুল আমীন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক।
তারা ওই বছর ১১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওই দুই মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় রফিকুল আমিনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৬ সালের ১৬ জুন নোটিশ দেয় দুদক। সাত দিনের মধ্যে তাকে তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলা হয়।
কারাবন্দি রফিকুল আমীন বিবরণী দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করলে তাকে আরও সাত দিন সময় দেয়া হয়। এরপরও সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরে ২০১৭ সালের ৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
একই বছরের ১২ মার্চ চার্জ গঠন করে রফিকুল আমিনের বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটিতে আদালত ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অপর দুইটি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।