সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি।
ঢাকা সফরে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকগুলোর মাধ্যমে পারস্পরিক উদ্বেগগুলোর সমাধানের সুযোগ হতে পারে।
পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় পৌঁছালে মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া উইং) ইশরাত জাহান তাকে স্বাগত জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মিসরি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বিক্রম মিসরির। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
গত কয়েক মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশে যে ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, এ সফরের মধ্যে দিয়ে তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অচলাবস্থা নিরসনে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ‘
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি বলেন, 'আমি আশা করি তাদের (পররাষ্ট্র সচিব) ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে এবং উভয় পক্ষকেই এই পরিবর্তিত বাস্তবতা মেনে নিয়ে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে দুদেশের মধ্যে যে মন্দা দেখা দিয়েছে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, উভয় দেশেই এর প্রভাব পড়েছে।
গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ভারত সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বাধীন এফওসি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি কাঠামোগত সম্পর্ক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব উপাদানকে আলোচ্যসূচিতে রাখার চেষ্টা সব সময় রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বাণিজ্য, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও পানি ইস্যুসহ কিছু বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে এবং এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়