নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত নিয়মিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে উভয় পক্ষই পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মান বাড়ানোর মর্ম উপলব্ধি করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশি একটি দৈনিক পত্রিকা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে এক ‘ক্ষতিকর’ গল্প এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সম্পর্কে এক ‘বানোয়াট’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে তিনি চার মাস ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বাংলাদেশি গণমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, গত চার মাস ধরে বৈঠকের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ভারতের হাইকমিশনারকে সময় দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ঢাকার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২২ জুলাইয়ের আগে গত চার মাসে এ ধরনের কোনো সাক্ষাতের সময়সূচি চাওয়া হয়নি।
এমন ‘অনুমানমূলক’ প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘হাইকমিশনার গত ২২ জুলাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সাথে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন। এর আগে কোনো সময় চাওয়া হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সেরা সময় পার করছে’ এবং এটি আগামী দিনে আরও দৃঢ় হবে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে বা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলির।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত চার মাসে কোনো কূটনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেননি।
সূত্রটি ইউএনবিকে জানায়, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি যে কমপক্ষে পাঁচজন রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের মেয়াদ শেষ করে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাদের এমনকি বিদায়ী সাক্ষাতও হয়নি।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভালো প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক এ অঞ্চলে সম্পর্কের রোল মডেল।