নির্বাচনে অংশ নেয়া দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাথে আলাদা বৈঠক শেষে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সিইসি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে।’
এর আগে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনাকারী দলের কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আলাদা বৈঠকে নির্বাচনকে ঘিরে থাকা তাদের নিজ নিজ দলের অভিযোগ সিইসির সামনে তুলে ধরেন।
দুই দলের অভিযোগ শুনার পরে সিইসি বলেন, ‘বিএনপি বলেছে যে তাদের প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা হয়রানি করার মতো কোনো আলামত দেখিনি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিনিধিদল বলছে গোপীবাগের ঘটনায় পুলিশ তাদের অভিযোগ রেকর্ড করছে না। কিন্তু বিএনপি চলে যাওয়ার পর ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললাম। তিনি বললেন, বিএনপি আমাদের কাছে এসে মামলা দেয়নি।’
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ মামলা করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন কথা জানানো হলে সিইসি বলেন, ‘ফৌজদারি অপরাধ হলে বিক্ষুদ্ধ যে কেউ মামলা করতে পারেন। এটা একটি আইনি বিষয়।’
নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের অভিযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রবিবারের ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিএনপিকে দোষারোপ করছে।
নুরুল হুদা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো যে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ঢাকায় ঢুকে থাকতে পারে। সে জন্য আমরা যেন ব্যবস্থা নেই সে দাবি করেন তারা।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সিইসির সাথে বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম বলেন, বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে রাজধানীর বাইর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিচ্ছে। তারা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে বলে বলেন তিনি।
গোপীবাগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’