জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১ নভেম্বর তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর একই আদালত গত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, তাদের সম্পত্তি ক্রোক সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। স্থায়ী ঠিকানায় কোনো সম্পত্তি পায়নি মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর একই আদালত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল