তুরস্কের স্থাপত্যশৈলির অনুপ্রেরণায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর অন্যতম, যেখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে আসেন। মসজিদে মানত, দান ও সদকার বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়। বর্তমানে মসজিদের তহবিলে ৯০ কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা রয়েছে। এ তহবিল থেকে তুরস্কের স্থাপত্যশৈলিতে ১০ তলা বিশিষ্ট আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সে মাদ্রাসা, এতিমখানা, লাইব্রেরি, মিলনায়তন ও অতিথিশালাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, মসজিদে প্রতিদিন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদান করা হয়, যা শেষে নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলাম প্রক্রিয়ায় এক বিশেষ চক্র সক্রিয় থাকায় ন্যায্যমূল্যে বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই নিলাম কার্যক্রমের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ড. খালিদ বলেন, ওয়াকফ এস্টেটের তহবিলে জমা অর্থ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী, গরীব শিক্ষার্থী, অনাথ ও বিধবা কল্যাণে ব্যয় করার জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় ওয়াকফ প্রশাসক নূর আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, জামিয়া এমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ ও কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা নির্মাণাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পাগলা মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটটি ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এস্টেটটিতে সাড়ে পাঁচ একর জমি রয়েছে। গত অর্থবছরে এই এস্টেট থেকে এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি ওয়াকফ কন্ট্রিবিউশন পাওয়া গেছে।