বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাহাদ মাহমুদ। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, তুরাগ নদ রক্ষায় এইচআরপিবির করা এক রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ২৪ ও ২৫ জুন হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেয়। রায়ে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) ও রিভিশনাল সার্ভে (আরএস) ম্যাপ অনুসারে নদীর সীমানা জরিপ করতে বলা হয়। তবে সিএস এবং আরএস সীমানার বাইরে সাভারের বড়দেশি মৌজায় ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিতে মাটি খনন, সীমানা নির্ধারণের জন্য পাইলিংয়ের মাধ্যমে পিলার স্থাপনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ২৭ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করেন মো. জোনায়েদ আহম্মেদসহ ৬২টি পরিবার।
এতে ফল না পেয়ে বিআইডব্লিউটিএর পিলার স্থাপন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদনটি করেন জোনায়েদ আহমেদসহ ৬২টি পরিবার, যা রবিবার শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই এলাকায় (বড়দেশি মৌজা সংশ্লিষ্ট প্লট) মাটি খনন ও পিলার স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ-এর কাছে করা আপত্তির আবেদনটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।