থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাংককের স্থানীয় একটি হোটেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ীরা এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি আগের দিন দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করতে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সইয়ের কথা উল্লেখ করেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে ৫ দলিল সই ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দেন।
বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা