প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে...
১. আসবাবপত্র: আসবাবপত্র কেনায় মূসক ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২.লঞ্চ টিকিট: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিট খরচ বাড়বে। আগে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ছিল, নতুন অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৩.কার ও জিপ রেজিস্ট্রেশন: কার ও জিপ রেজিস্ট্রেশনসহ এ দুটি বাহনের ক্ষেত্রে বিআরটিএ প্রদত্ত অন্যান্য সার্ভিস ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশে থেকে ১৫ শতাংশে বৃদ্ধি।
৪.চার্টার্ড ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার ভাড়া: যানবাহন দুটি ভাড়ার ক্ষেত্রে ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৫. মোবাইল ফোন সেবা: মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
৬. প্রসাধনী সামগ্রী: প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৭. সিরামিক সিঙ্ক ও বেসিন: সিরামিকের সিঙ্ক ও বেসিনের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
৮. পেঁয়াজ আমদানি: পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা শুল্ক আরোপ হবে।
৯. মধু: মধুর বাল্ক আমদানি শুল্ক বাড়ছে অর্থাৎ বিদেশি মধুর দাম বাড়বে।
১০. তামাক ও তামাকজাত পণ্য: সিগারেট, বিড়ি ও জর্দার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালেরও এটি দ্বিতীয় বাজেট।
এর আগে আজ মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান।
বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।