দিনাজপুরের হিলিতে সাইকেল চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৭ মে) ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। পরদিনই সেটি প্রতিবেশী সিদ্দিক হোসেনের বাড়িতে পাওয়া যায়। পরে, গ্রামবাসী বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। সাইকেল চুরি নিয়ে পরবর্তীতে আবারও ফারুক হোসেনের স্ত্রী এলিনা বেগম ও সিদ্দিকের স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনাটি হাতাহাতিতে গড়ালে ফারুক হোসেনের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সিদ্দিক। আহতাবস্থায় এলিনাকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।
এরপর ফারুক হোসেন ও তার শ্যালকসহ কয়েকজন স্বজন মিলে বাড়ি থেকে সিদ্দিকের স্ত্রী ও তার মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে, মা-মেয়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) মা-মেয়েকে বেঁধে রাখা ঘটনার ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সিদ্দিক হোসেনের মা জরিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে সাইকেল চুরি করে থাকলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু নিরপরাধ বউ-নাতনিকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করবে এটা কেমন কথা? এরপর এই ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ফারুক হোসেনের স্ত্রী এলিনা বেগমের দাবি, ছেলের সাইকেলটি সিদ্দিকের বাড়িতে পাওয়া যাওয়ায় বাগবিতণ্ডা হওয়ার পর মীমাংসাও হয়েছিল। এরপরেও সিদ্দিক গালিগালাজ ও তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে গেছে বলে জানান এলিনা। খবর পেয়ে তার ভাইরা এসে সিদ্দিকের স্ত্রী ও মেয়েকে ধরে কিছুক্ষণ খুঁটিতে বেঁধেছিল। তবে, মারপিট করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, সাইকেল চুরি, মারামারি ও মা-মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।