সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নটপ্রেস রিজেক্ট) করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।
ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন পেলেও এ মামলায় জামিন না হওয়ায় তিনি আপাতত কারামুক্ত হতে পারছেন না।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টের রুল, আপিলে জামিন বহাল
এর আগে এ মামলায় তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ শেখ নাজমুল আলম এই মামলায় মিজানুর রহমানকে তিন বছর ও দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান মিজান ও বাছির।
১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট মিজানকে দুই মাসের জামিন দিলে তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
তৎকালীন দুদকের পরিচালক বাছিরকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টের রুল, আপিলে জামিন বহাল
তদন্তের সময় মামলাটি নিষ্পত্তি করতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মিজান। এরপরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে নিয়োগ দেয় কমিশন।
একইসঙ্গে ঘুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ফানাফিল্লাহ মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এবং ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত দুজনকে অভিযুক্ত করে এবং মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।