দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমরা সেখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। তবে আমরা শুধু বিদেশি বিনিয়োগ চাই না, চাই দেশীয় বিনিয়োগও।’
আজ রবিবার (১৯) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার এ পর্যন্ত মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৮০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এসএমই ফাউন্ডেশন বা যারা উদ্যোক্তা তারা এককভাবে বা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য জমি নিতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি সরকার খাদ্য উৎপাদন, কৃষিপণ্য উৎপাদন যা অর্থনীতিতে অবদান রাখবে এবং তার উপর ভিত্তি করে শিল্পায়নের উপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শিল্পায়ন না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না এবং আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব না। তাই আমাদের শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যে কৃষির জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সেই কৃষির যান্ত্রিকীকরণের জন্য বড় পরিসরে ছোট যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন: অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা গেলে ওইসব যন্ত্রাংশ উৎপাদন করা সম্ভব হবে যা অনেক দেশেও রপ্তানি করা যাবে। এতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের দেশেই বাজার তৈরি হবে।’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্ত ৭ ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
স্বপ্না রানী সেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী