মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে বন্যা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৬২টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। কুড়িগ্রম, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও নেত্রকোণার মানুষ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
বন্যায় জামালপুরে ২৯, টাঙ্গাইলে ২৫, কুড়িগ্রামে ২২, লালমনিরহাটে ২২, মানিকগঞ্জে ১৩, গাইবান্ধায় ১২, সিরাজগঞ্জে ১১, নেত্রকোণায় পাঁচ, রংপুরে তিন, নীলফামারী, সুনামগঞ্জ, নওগাঁ, গোপালগঞ্জে দুজন করে এবং রাজবাড়ী, শরিয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জে একজন করে বন্যায় মারা গেছেন।
বন্যাকবলিত জেলায় সরকার ১৫৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করেছে সরকার।
বন্যায় কৃষকের ক্ষতি পোষাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত বন্যাপ্লাবিত এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি ও মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ঈদুল আজহা পরবর্তী পুনর্মিলনী সভায় অনলাইনে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরম অনিশ্চয়তায় আছে। বন্যার পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ করতে হবে। সেজন্য, বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে ১৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’