বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে কাজু বাদামের চারা রোপণ শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাজু বাদাম চাষাবাদে একদিকে যেমন অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি আনবে, তেমনি কাজু বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কাজু বাদামের বাজার ও প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা না থাকায়, তেমন জনপ্রিয় করতে পারছি না। কিন্তু এ বছর প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। কাজু বাদাম রপ্তানি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গবেষণা করে দেখা গেছে বাংলাদেশে কাজু বাদামের উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। ইনশাল্লাহ আমরা যদি এটি করতে পারি আগামি ৩/৪ বছরের মধ্যে কাজু বাদামে আমাদের একটি বিপ্লব হবে।
কাজু বাদাম রপ্তানি করে অনেক দেশ বিলিয়ন ডলার আয় করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও মনে করি বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখিকরণে কাজু বাদাম বিশাল ভুমিকা রাখবে। মুজিববর্ষে এটি আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
এদিকে, সংসদ ভবন চত্বরে ধারাবাহিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলও বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
পরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণের যে উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় এটি সময়ের দাবি এবং তাপমাত্রা হ্রাস করণে প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বিশ্ববাসীর জন্য শিক্ষণীয়।’
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক-২০২০ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।