ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তার মা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।
ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ওয়াশিংটন থেকে ১০ আগস্ট রয়টার্সকে জয় বলেছেন, আমার মা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’
এই সপ্তাহের শুরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের একটানা শাসনের নাটকীয় অবসান ঘটাতে তার সরকারি বাসভবনের সামনে মিছিল করলে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রাজপথ থেকেই ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত বিজয়: আসিফ মাহমুদ
জয় বলেন, সেনাপ্রধান ও বিরোধী রাজনীতিকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ ছাড়াই একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।
সজিব ওয়াজেদ বলেন, 'আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী আমার মা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
তিনি তার মায়ের পক্ষে জোর দিয়ে বলেন, ‘তার সরকার কর্তৃক গৃহীত কোনও অবৈধ পদক্ষেপের জন্য তিনি দায়বদ্ধ নন। তার সরকারের লোকজন অবৈধ কাজ করেছে তার মানে এই নয় যে আমার মা আদেশ দিয়েছেন।’
ওয়াজেদ স্পষ্ট করে বলেননি যে সরকারের মধ্যে কে বিক্ষোভকারীদের উপর সহিংস দমন পীড়নের জন্য দায়ী। যাদের কারণে অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়েছন। যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী ছিল। তবে তিনি দোষ পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তার মা বল প্রয়োগের অনুমতি দেননি বলেও জোর দেন তিনি।
আমার মা একেবারেই কাউকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নির্দেশ দেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। হাসিনা সরকারের আমলে গুলিবর্ষণে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
পরিস্থিতি বিবেচনায় শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়াজেদ। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। তা না হলে আমরাই বিরোধী দল হয়ে যাব। যাই ঘটুক তা ভালো।’
আরও পড়ুন: বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ফখরুল