বেসরকারি চ্যানেল দেশ টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে(ডিএসএ) পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ প্রচারিত একটি বিউটি পার্লার নিয়ে একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে শুক্রবার খুলনার সাংবাদিককে জড়িয়ে এমন খবর প্রকাশ্যে আসে।
গত ২১ ও ২৮ মার্চ খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কণিকা বিশ্বাসের আদালতে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত মো. অসীম ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভাগীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন।
প্রথম মামলার বিবরণী অনুসারে, সাংবাদিক ১৮ মার্চ চ্যানেলে প্রচারিত 'বিউটি পার্লারের ছদ্মবেশে অনৈতিক কাজ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছিলেন।
গত ২১ মার্চ বিউটি পার্লারের মালিক বিউটিশিয়ান তানিয়া ইসলাম সাংবাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। যেখানে এই সাংবাদিককে চতুর্থ আসামি করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- খুলনার খালিশপুরের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান, ঢাকা ফার্স্ট নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সারওয়ার হোসেন খান এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. আলম খান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
এছাড়া বিউটি পার্লারের কর্মচারী সুমাইয়া কবির ২৮ মার্চ একই অভিযোগ এনে একই আদালতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা করেন।
আদালত অপরাধ তদন্ত বিভাগকে অভিযোগটি তদন্ত করতে বলেছে।
পার্লারে ব্যবসার নামে অনৈতিক কাজের কথা প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আসামি অসীম।
নিজের জীবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিক বলেন, শুক্রবার তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের ঘটনায় ইরাব’র উদ্বেগ