তিনি বলেন, ‘দেশের গ্রামগঞ্জে নতুন পাকা রাস্তা সেতু-কালভার্ট করতে হলে স্ব স্ব উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে আলোচনার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
রবিবার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর উপর পিসি গার্ডার সেতু এবং চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুর নকশা সংক্রান্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করা যেতে পারে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে যে প্রতিবেদন দেয়া হবে তা বিবেচনায় নিয়ে রাস্তা এবং ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হবে। এতে যত্রতত্র রাস্তা-ঘাট এবং ব্রিজ নির্মাণ বন্ধ হবে।
সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে নদীর নাব্যতা, পানি প্রবাহ ঠিক রাখা, নৌ চলাচল, কৃষি সেচ ও মৎস এবং পরিবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যেখানে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ না করে অর্থাৎ আইন অনুযায়ী নির্মাণ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ সহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরিতে ৮৮৫ দশমিক ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদন দেয় একনেক। যাতে কুড়িগ্রামের সাথে রাজধানী ঢাকার শহীদ যাতায়াতের দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচন করা যায়।
এছাড়া সভায় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন ডাকাতিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প প্রকল্পে নদীর নাব্যতা ড্রেজিং পরিবেশ সহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ডিজাইন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।