স্থানীয় সরকার
জনগণের মতামত চেয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন (এলজিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ভবনে এটির কার্যক্রম শুরু করে জনসাধারণের মতামত ও সুপারিশ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে (এলজিআরসি)।
চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এলজিআরসি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিম্নলিখিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে উৎসাহিত করেছে:
ওয়েবসাইট: www.lgrc.gov.bd
ফেসবুক: facebook.com/lgrc24
ইমেইল: [email protected]
মোবাইল ফোন: ০১৩২৫২১২৪৭৫
কমিশন এই যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মমগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য টেলিভিশনের স্ক্রলসহ সকল প্রকার গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিৎ: ড. তোফায়েল
২ সপ্তাহ আগে
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কোনো প্যাকেটজাত পণ্য না যে দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, যে চলমান প্রক্রিয়ার চাকাটিকে চালু রাখতে গেলে পারষ্পরিক সম্পর্ক মজবুত করে গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সামগ্রিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভাসহ কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেই যেন সরকারি সেবা বিতরণে ব্যত্যয় না ঘটে এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে চেইন অব সুপারভিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে প্রতিটি কর্মকর্তা তার পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরদারিতে থাকতে পারে।
আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা আনয়ন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ১৬ বছর ধরে চলমান দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে হবে। আর্থিক বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে কঠোর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি অপব্যবস্থাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম. তারিকুল আলম ও সকল জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার প্রশাসকরা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
আমন মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
উন্নত রাষ্ট্র গঠনে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: মন্ত্রী
সরকার উন্নত রাষ্ট্র গঠন করতে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২৬ মে) সকালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে ‘সিটি করপোরেশন অবহিতকরণ প্রশিক্ষণ’ কোর্স আয়োজন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।
উন্নত রাষ্ট্র গঠনে শক্তিশালী সরকার গঠন প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, `পৃথিবীতে যেসব দেশ উন্নত হয়েছে, তাদের শক্তিশালী সরকারের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। সরকার যত বেশি শক্তিশালী হয় জনগণের সুশাসন, ন্যায় বিচার, আকাঙ্ক্ষা তত বেশি উন্নত হয়। সরকার বলতে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, স্থানীয় সরকারকেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি শক্তিশালী করা না হয়, তাহলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের একাগ্রতা সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।’
উপস্থিত কাউন্সিলদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার অর্থকে এ দেশে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। অনেকে মনে করেন, স্থানীয় সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অর্থবিত্ত দেওয়া হবে, আর স্থানীয় সরকার সে অর্থ দিয়ে মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে। এটা মোটেও সঠিক নয়। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্থানীয় সরকার আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ছিল বলেই সমৃদ্ধি লাভ করতে পেরেছে। নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটে (এনআইএলজি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে আরও ছিলেন- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু ও এনআইএলজির মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।
৬ মাস আগে
সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করুন: স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী
সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলে সচেষ্ট থাকতে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'স্থানীয় সরকার স্মার্ট হবে: সেবার অধিকার নিশ্চিত হবে' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার দিবস -২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
যুবসমাজের ওপর মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে উসকে দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা মোকাবিলায় জনসচেতনতা গড়ে তুলতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এই গতিশীলতায় অবদান রাখার জন্য স্থানীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জনপ্রতিনিধিদের তাদের দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা এবং সঠিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী, যাতে জনগণ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি ব-দ্বীপ উল্লেখ করে তিনি নদ-নদী, খাল, নালা, বিল ও হাওরসহ জলাশয় সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা গ্রাম পর্যায়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাশয় সংরক্ষণের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিজস্ব স্থানীয় সংস্থার জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আবাদি জমি রক্ষা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও সেবার প্রতি মনোযোগ দিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা, কিন্তু ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা করা হয়।
তিনি এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছিলেন যেখানে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে এবং স্থানীয় উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো সরবরাহে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ, পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন এবং সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদ্দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান এবং দেশব্যাপী স্থানীয় শাসন ও সেবা প্রদানের জন্য নিবেদিত একটি দিনের মঞ্চ তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি। এর ফাঁক দিয়ে অজগর সাপ ঢুকে সব খেয়ে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে। সারা পৃথিবীতে কেউ এতে সম্মতি দেয় না।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে কুমিল্লার টাউন হল মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা (বিএনপি) চান যে, একটা দুর্যোগপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। আপনারা ক্ষমতা চান, দেশের উন্নয়নের জন্য?
কিন্তু দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে কী কী করেছেন আর আওয়ামী লীগ কী কী করেছে তা দেখেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ শান্তিপূর্ণ দেশ। এ দেশটাকে নষ্ট করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে শিকার করতে চায়। বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে
৫ সিটি নির্বাচনে বিএনপি কোনোভাবেই অংশ নেবে না: ফখরুল
সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে দলের সূক্ষ্ম কৌশল নিয়ে সকল জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট বলেছেন, তাদের দল কোনোভাবেই আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলেছি যে আমরা কোনো ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের দল কোনো মেয়র বা কমিশনার পদে লড়বে না।’
আরও পড়ুন: অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে সরকার ব্যর্থ: ফখরুল
নবগঠিত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে জনগণের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে সম্পূর্ণ প্রহসন করেছে।
তিনি বলেন, ‘একইভাবে, ২০১৮ সালে তারা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং জনগণ সেই নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করছে না। সাম্প্রতিক উপ-নির্বাচনে (চট্টগ্রামে) মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তাই মানুষ বোঝে এবং গোটা বিশ্বও বোঝে যে এই শাসন ক্ষমতায় থাকলে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হলে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং সরকারের ক্ষুণ্ণ ভাবমূর্তি মেরামত করতে বিদেশে গিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে এই শাসনকে পরাজিত করে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।’
এর আগে গত ২০ এপ্রিল দলটির স্বেচ্ছাসেবক শাখা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ২১৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। এসএম জিলানীকে সভাপতি ও রাজীব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
১ বছর আগে
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার জন প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্যাহ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, ওবায়দুল কাদের, রমেশ চন্দ্র সেন, রাশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও আবদুস সোবহান গোলাপ।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা পরিষদ: আমতলী থেকে এম এ কাদের, নাজিরপুর থেকে মোশারেফ হোসেন, টঙ্গিবারী থেকে ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবদুল ওয়াহিদ, রায়পুরা থেকে লায়লা কানিজ, লালমাই থেকে কামরুল হাসান এবং বোয়ালখালী থেকে রেজাউল করিম মনোনয়ন পেয়েছেন।
পৌরসভা: দর্শনা থেকে আতিয়ার রহমান, এলেঙ্গা থেকে নুর-এ আলম সিদ্দিকী, কোটালিপাড়া থেকে মতিয়ার রহমান হাজরা, হালুয়াঘাট থেকে খায়রুল আলম ভূঞা এবং নাজিরহাট থেকে এ কে জাহেদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন থেকে আফছার উদ্দিন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডিমলা ইউনিয়ন থেকে এ এইচ এম ফিরোজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন থেকে ইসমাইল হক, মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন থেকে রওশন আলী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন থেকে আব্দুল হান্নান, কে ডি কে ইউনিয়ন থেকে খায়রুল বাসার, মনোহর ইউনিয়ন থেকে সোহরাব হোসেন খান।
এদিকে, বাঁকা ইউনিয়ন থেকে আব্দুল কাদের প্রধান, হাসাদহ ইউনিয়ন থেকে রবিউল ইসলাম, রায়পুর ইউনিয়ন থেকে তাহাজ্জত হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন থেকে হায়াত আলী, আইলহাঁস ইউনিয়ন থেকে জাহিদুল ইসলাম, ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন থেকে হেকমত সিকদার, নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়ন থেকে রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন থেকে মোশারফ হোসেন দুলাল, ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন থেকে সালাহউদ্দিন সরকার, পিরুজালী ইউনিয়ন থেকে জালাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আরও যারা আছেন- মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন থেকে এইচ এম সুমন, নরসিংদীর সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়ন থেকে এনামুল হক, নুরালাপুর ইউনিয়ন থেকে জাকারিয়া, রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়ন থেকে মোসা: মাহফুজা আক্তার, ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়ন থেকে সহীদুল ইসলাম, চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন থেকে তুহিনুর রহমান, নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন থেকে মোফাজ্জেল হোসেন, আলিয়াবাদ ইউনিয়ন থেকে ওমর ফারুক, ডিক্রীরচর ইউনিয়ন থেকে আনোয়ার হোসেন (আবু), মাচ্চর ইউনিয়ন থেকে রিজন মোল্যা, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন থেকে আবু সাইদ চৌধুরী (বারী), কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন থেকে এ কে এম বাদশা মিয়া, কানাইপুর ইউনিয়ন থেকে ফকির বেলায়েত হোসেন।
বাকিদের মধ্যে যারা আছেন- কৈজুরী ইউনিয়ন থেকে ফকির ছিদ্দিকুর রহমান, গেরদা ইউনিয়ন থেকে শাহ এমার হক, বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়ন থেকে আবুল বাসার তালুকদার, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন থেকে টিনু মৃধা, চম্পাপুর ইউনিয়ন থেকে রিন্টু তালুকদার, বালিয়াতলী ইউনিয়ন থেকে এ বি এম হুমায়ূন কবির, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে দেলওয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগড়হর ইউনিয়ন থেকে মাহমুদুল হক কামরুল, নেত্রকনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়ন থেকে সফিকুল ইসলাম, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে তৈয়ফুর রহমান, মাইজগাঁও ইউনিয়ন থেকে জুবেদ আহমদ চৌধুরী।
ঘিলাছড়া ইউনিয়ন থেকে সাইফুল ইসলাম, উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন থেকে লুদু মিয়া, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে জুনেদ আহমদ, সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়ন থেকে ইকলাল আহমদ, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন থেকে নজরুল ইসলাম, টুকেরবাজার ইউনিয়ন থেকে রাজু গোয়ালা, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি (দক্ষিণ) ইউনিয়ন থেকে ফারুক হোসেন ভূইয়া, শিলমুড়ি (উত্তর) ইউনিয়ন থেকে আবু ইসহাক, দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়ন থেকে মনির হোসেন তালুকদার, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ ইউনিয়ন থেকে খোরশেদ আলম বকাউল, মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন থেকে কাজী মিজানুর রহমান, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চর কিং ইউনিয়ন থেকে নাইম উদ্দিন আহমেদ, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়ন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু প্রকোপ কমে যায়। অন্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে এসে সেই সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তবে ২০২২ সালে এসে আবার পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুশ্চিন্তার কারণ বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশা বন্ধ্যাত্বকরণ করেছে। ইন্দোনেশিয়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করছে। কীটতত্ত্ববীদ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের প্রোগ্রাম নিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে নিবিরভাবে মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এডিস মশাসহ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশকও পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর কীটনাশক আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন যে কেউ অনুমোদিত কীটনাশক আমদানি করতে পারবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা ও জনগনের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণ জনগনকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দায়িত্বশীল সবার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম, চারজন কীটতত্ত্ববীদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা জোরদারে গুরুত্বারোপ: সরকারি নথি
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও গ্রামীণ উন্নয়ন জোরদারের প্রতি গুরুত্বারোপ করছে সরকার।
এক বাজেট নথি অনুসারে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জোরদারকরণ নিশ্চিত করতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে মোট ব্যয় গড়ে আট দশমিক সাত শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৪৭৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন কোটি।
২০২৩-২৪ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও গ্রামীণ উন্নয়নের প্রাক্কলন ব্যয় যথাক্রমে ৪৭৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ও ৪৩৫ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন টাকা।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতের জন্য বরাদ্দ ৪২১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন টাকা। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা ৪২৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৩২৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ছিল ৩১৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন টাকা।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করা, শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা কমানো, শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা এবং ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ ও এর পরিবর্তে মাটির ওপরের পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
সরকারি নথি অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে সরকার বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
এসব উদ্যোগের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ কর্মসূচি।
এই কর্মসূচির আওতায় ৫৭ লাখ উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে দুই হাজার ৯৯১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে; আয় উৎপাদন করতে পারে এমন ৩২ দশমিক ৪৯ লাখ পারিবারিক খামার স্থাপন করা হয়েছে এবং দুই লাখ ৬৪ হাজার উপকারভোগীকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গৃহীত ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
৫ম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে ভোট বুধবার
দেশব্যাপী পঞ্চম ধাপে স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার (৫ জানুয়ারি) হতে যাচ্ছে। এ ধাপে ৭০৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান।
ইসির তথ্যপত্রে, ৪৮টি জেলার ৯৫টি উপজেলায় ৭০৮টি ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে মোট ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৭০৮টি পদের জন্য তিন হাজার ২৭৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
তবে, ৪৮ জন চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী ইতোমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নিজ নিজ পদের বিপরীতে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বিভিন্ন ইউপিতে সংরক্ষিত আসনে ৩৩ জন ও সদস্য পদে ১১২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
৭০৮টি ইউপিতে, সাত হাজার ১৩৭টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে মোট ভোটার সংখ্যা এক কোটি ৪২ লাখ। ৪০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে এবং পঞ্চম ধাপের ভোটে অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।
গত ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ৪৭টি জেলার ৭০৭টি ইউপিতে পঞ্চম ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। পরে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে আরেকটি ইউপি অন্তর্ভুক্ত হয়।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৭ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ৯ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৫ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপি নির্বাচন ৫ জানুয়ারি
৭০৭টি ইউপির মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড় জেলায় আটটি, দিনাজপুরে ১৯টি, নীলফামারীতে ১১টি, লালমনিরহাটে ৭টি, কুড়িগ্রামে ৭টি, গাইবান্ধায় ১৬টি, জয়পুরহাটে ৫টি, বগুড়ায় ২২টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি, নওগাঁয় ২৩টি, রাজশাহীর ১৯টি, নাটোরে ১১, সিরাজগঞ্জে ১৬, পাবনায় ১৫, কুষ্টিয়ায় ১১, ঝিনাইদহে ২০, যশোরে ২৩, সাতক্ষীরায় ১৬, ভোলায় ১২, পিরোজপুরে ৫, জামালপুরে ১১, শেরপুরে ৮, ময়মনসিংহে ২৬, নেত্রোকোণায় ২১ , টাঙ্গাইলে ১৩, কিশোরগঞ্জে ১৫, মানিকগঞ্জে ২১, মুন্সিগঞ্জে ৭, ঢাকায় ১১, গাজীপুরে ৮, নরসিংদীতে ১৫, রাজবাড়ীতে ১০, ফরিদপুরে ১৫, গোপালগঞ্জে ১৫, মাদারীপুরে ২, শরীয়তে ১৭, সুনামগঞ্জে ১৭ ,সিলেটে ১৮, মৌলভীবাজারে ১৮, হবিগঞ্জে ২১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯, কুমিল্লায় ২৫, চাঁদপুরে ২৭, ফেনীতে ১২, নোয়াখালীতে ২০, চট্টগ্রামে ২৫, খাগড়াছড়িতে ৫ ও বন্দরবানে ৩টি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকে দায়ী করলেন আইনমন্ত্রী
৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন: ৩৯০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী
২ বছর আগে