দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বেড়েছে, বৃহস্পতিবার উৎপাদন ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াটে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত ৯টায় আগের ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদনকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশ।
ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য উল্লেখ করে বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে যে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় মোট ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট উৎপাদনের মধ্যে প্রায় ছহাজার ৭২ মেগাওয়াট এসেছে দেশের গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে, পাঁচ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট এসেছে তরল জ্বালানি -ভিত্তিক প্ল্যান্ট থেকে। কয়লাচালিত প্ল্যান্ট থেকে দুই হাজার ৬১৮ মেগাওয়াট, হাইড্রো প্ল্যান্ট থেকে ২৫ মেগাওয়াট, ভেড়ামরা সীমান্তে এইচভিডিসির মাধ্যমে ভারত থেকে ৮৩০ মেগাওয়াট, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আরও ১২৪ মেগাওয়াট, আরপিসিএল থেকে ১০০ মেগাওয়াট এবং আদানি গ্রুপের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ৭৫৯ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় আদানি গ্রুপ থেকে আমদানি করা ৭৫৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার পর নতুন রেকর্ড গড়েছে।
তারা বলেছে যে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম এখনও নিষ্পত্তি হয়নি, তবে কর্মকর্তারা বলেছেন যে আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের শুল্ক প্রতি ইউনিট ১৪ টাকার উপরে হতে পারে যখন গড় উৎপাদন খরচ ৭ টাকার কম।
এখন বাংলাদেশের স্থাপিত গ্রিডের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,০০০ মেগাওয়াটের বেশি।