বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ বৃহত্তর প্রকল্পের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ছাদ সোলার, ভাসমান সৌর এবং সৌর সেচের মতো ছোট উদ্যোগের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার সেচ পাম্প প্রতিস্থাপনের জন্য একটি রোডম্যাপ নির্ধারণ করেছে। এর ফলে ডিজেল খরচ কমবে এবং পরিবেশের উন্নতি ঘটবে।’
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রবর্তনের মাধ্যমে সরকার কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে আন্তর্জাতিক প্রকল্পের জন্য অর্থ জোগাড় করার কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটি গৃহীত হয়েছিল।
সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, আইআরইএনএ’র দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচারে কাজ করছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের অংশ হিসেবে সরকার একটি টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) গঠন করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এমিরেটসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ আলমেহিরি, আইসল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রী গুদলাউগুর থর তোহারদারসন, বেলজিয়ামের ডেপুটি চিফ অব কেবিনেট ডমিনিক পেরিন, নেপালের পানি ও জ্বালানিমন্ত্রী শক্তি হাহাদুর বাসনেট এবং ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি খনিজ সম্পদমন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ।