বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার(২৩ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জ্বালানি বিষয়ক এক আলোচনায় তারা এই আহ্বান জানান। ৯টি সবুজ প্ল্যাটফর্মের একটি দল এই জ্বালানি আলোচনার আয়োজন করে।
বেসরকারি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহজলভ্য করা এবং এর টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যৌক্তিক।’
তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর বাংলাদেশ একটি ত্রুটিপূর্ণ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দিচ্ছে এবং জ্বালানি নীতি অনুসরণ করেছে। এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের উপর অধিকহারে নির্ভরতা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই নির্ভরতার ফলাফলটি ধ্বংসাত্মক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। অলস বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলেতে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ায় বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়েছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ভর্তুকি দিতে হয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, তবে অতিরিক্ত ব্যয় দেশের জ্বালানি সংকট দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে, যা জীবনধারা ও ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে।
পড়ন: জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ৫ সমঝোতা স্মারক ও ৩ নোট বিনিময়
জ্বালানি আলোচনায় প্রায় ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জীবাশ্ম জ্বালানি অনুসন্ধান এবং সম্প্রসারণ বন্ধের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রচারণা- ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফিকেশনের কৌশলগত উপদেষ্টা হরজিৎ সিং বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে জ্বালানি রূপান্তর ন্যায্য রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
তিনি বলেন, দাম কমার কারণে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বর্তমানে আশাব্যঞ্জক এবং লাভজনক বলে মনে হতে পারে, তবে জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ আটকে থাকবে।
নাগরিক সমাজের সবুজ উদ্যোগ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-এর সদস্য সচিব শরীফ জামিলও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।