পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার শোক বার্তায় মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও রাজনৈতিক অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘গণমানুষের নেতা মোহাম্মদ নাসিম পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ায় দেশ একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে হারালো। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
পৃথক শোক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ প্রেমিক নেতা মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ধারক ও বাহক। তিনি সারা জীবন অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। এদেশের রাজনীতিতে তাঁর অবদান বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
শাহরিয়ার আলম মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও রাজনৈতিক অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন নাসিম (৭২)।
মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে নাসিম সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী নাসিম ১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।