তিনি বলেন, ‘যেসব ভবনে পরিকল্পনা নকশা অনুযায়ী করা হয়নি সেসব ভবনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নিয়মের বাইরে যেসব থাকবে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর জন্য আগামীকাল (সোমবার) থেকে রাজউকের ২৪টি টিম মাঠে কাজ করবে।’
বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এবং ঢাকা শহরের বিদ্যমান ভবণগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আশু করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজউক অডিটরিয়ামে এক দিকনির্দেশনামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউক এর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংবাকিদদের ব্রিফিং করা হয়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ এর পূর্ববর্তী সময়ে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বা গ্যারেজ রাখার কোনো বিধান ছিল না। সে সকলের ভবণের জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিল্ডিং যারা ব্যবহার করবেন তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বা সেখানকার মানুষ হিসেবে আগে দেখে নিতে হবে যে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কি না। অতিরিক্ত সিঁড়ি লাগানো আছে কিনা বা সকল কিছু মেনে বিল্ডিং করা হয়েছে কিনা, যদি এসব নিয়ম মেনে না করা হয় তাহলে আপনি সেই সেই ভবনটি ব্যবহার করবেন না।’
শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হওয়ার পর প্রয়োজনে আমরা এটা জনসম্মুখে, জাতীয় পত্রিকায় অথবা টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করব। কারণ অর্থলোভী মানুষরূপি যারা অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করে জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করেনি তাদের চেহারা দেশবাসীর দেখা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘পহেলা মে থেকে রাজউকের সকল সেবা ডিজিটাইজেশন হবে। এর মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি দূর হবে এবং জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিল্ডিংয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আগে আমরা শুধুমাত্র বিল্ডিং মালিক এবং ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।’