ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি জোবায়ের হোসেন প্রকাশ ওরফে হৃদয়কে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭ ও র্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানিক দল।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শরিফ-উল-আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের ছাত্র হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার সঙ্গে সুধারাম থানার নুরুল আমিন প্রকাশ কালামের ছেলে জোবায়েরের সম্পৃক্ততা ছিল।
দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট আনুমানিক ১০টার দিকে ফেনী জেলার মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
এ সময় ফেনী সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের প্ররোচনায় ও নির্দেশে কতিপয় আসামি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশে প্রকাশ্যে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।
এতে বারইয়ারহাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাইদুল ইসলাম (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
জানা যায়, নিহত ছাইদুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৪-১৬টি গুলি করায় ভিকটিম আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা পুনরায় ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি-সোঠা, লোহার রড, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরে ছাইদুলকে তার বাবা এবং ছাত্র-জনতা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাইদুলের বাবা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফেনী মডেল থানায় আসামি জোবায়েরকে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: ডিবির সাবেক ডিসি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার