পঞ্চগড় বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার পর শহরের মুড়িহাটি, শুটকি হাটি, মুরগি হাটি এলাকায় আকষ্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, পঞ্চগড় বাজারের এই এলাকাটিতে মুড়ি শুটকি, মুরগি, পান, চুড়ি ফিতা, দড়ি-সুতা, কাচাবাজার ও মালামালের দোকান-পাট রয়েছে রাত ১টার পর আকষ্মিক সেখানে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে।
পঞ্চগড় জেলার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান ও মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ২ বাংলাদেশি শনাক্ত
ব্যাবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে ছোট বড় প্রায় দেড়শ’ দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নগদ টাকা ও মালামালসহ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুরগী ব্যবসায়ী বেলাল জানান, তার নিজের দু’টিসহ প্রায় ২০/২৫টি মুরগীর দোকান পুড়ে গেছে। দেশি, পাকিস্তানি ব্রয়লার সব মুরগিই পুড়ে গেছে। আমরা ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত।
মুড়ি ব্যবসায়ী বিপ্লব সোহেল জানান, মুড়িসহ দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। অবশিষ্ট কিছুই নেই। এখন কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।
ফায়ার সার্ভিসিএখনও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম বলেন,ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আড়াই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতি কোনটাই বলা সম্ভব নয়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। অধিকাংশ দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহযোগিতা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল হক, পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা জানান, আগুন লাগার কারণ আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
কেন বা কি কারণে আগুন লাগলো তা জানতে দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান পুলিশ।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যু, ২ বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা