বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি তদারকির জন্য একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মেয়াদে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ড. হাছান মাহমুদকে বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এ দপ্তর বিতরণ করা হয়। এ কে আব্দুল মোমেনের স্থলাভিষিক্ত হন ড. হাছান মাহমুদ।
২০০৮ সালে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এবার তিনি চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন, কিন্তু ৬ মাস পর তাকে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১১ সালের নভেম্বরে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পান।
ড. হাছান বলেন, কর্ণফুলী ভাঙনের কবল থেকে সব ইউনিয়নকে বাঁচাতে মরিয়মনগর বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। রাঙ্গুনিয়াকে সন্ত্রাসীমুক্ত করার পাশাপাশি সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
ড. হাছান ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্যমন্ত্রী হন।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
হাছান মাহমুদ ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে রসায়নে বিএসসি অনার্স ও ১৯৮৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
মন্ত্রী ১৯৯৬ সালে জেনেভা থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০-২০০১ সালে লিমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ১৯৮৬ সালে চবি শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি এবং ১৯৮৯-৯০ সালে সভাপতি ছিলেন।
ড. হাছান ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০১ সালে দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন।
একই সঙ্গে তিনি দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক কেন্দ্রীয় সম্পাদকও ছিলেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী