জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।
তারা লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহের সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতেও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম ফারুক বলেন, পরিবহন খাতের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারকে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ‘আমরা চেকপোস্টে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির শিকার হই। এটা অবশ্যই শিগগির বন্ধ করতে হবে।’
ফারুক জানান, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ তে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কিছু ধারা রয়েছে এবং এগুলো বাতিল করতে হবে।
‘চালকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এ দেশে শ্রমজীবী লোকজন অনেকভাবে হয়রানির শিকার হন।
‘বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা ঘুষ নিয়ে সড়কে অনুপযুক্ত যানবাহন চলতে দেন। এসব যানের কারণে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া, চালকদের দীর্ঘ সময় কাজ করাও সড়ক দুর্ঘটনার আরেক কারণ,’ বলেন তিনি।
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা নাজমুল হক প্রধান অন্যান্যের মাঝে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।