চাঁদাবাজি
চাঁদাবাজির অভিযোগে গাজীপুরে যুবদল নেতা বহিস্কার
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ভিডিও ফুটেজে ভাইরাল হওয়ার পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপির যুব সংগঠন শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের এমসি বাজারে চাঁদাবাজি করছেন। যা তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। এর পরই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি ছাত্রদলের তেলিহাটি ইউনিয়ন শাখার সাবেক সদস্য সম্পাদক এবং ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নুরু বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা জানান, শনিবার রাতে যুবদলের নির্বাহী কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং তার দল এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কখনোই সমর্থন করে না।
ভিডিও ফুটেজে তাকে বলতে শোনা যায়, 'এখন থেকে আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন এমসিবাজার আমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এখন থেকে আমার লোকেরা খাজনা (চাঁদাবাজি) সংগ্রহ করতে শুরু করবে। কেউ বাধা দিলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। কেউ বাজার ইজারা দিয়েছে কিনা তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এখন থেকে আমার লোকজন টাকা আদায় করবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, শনিবার দুপুরে মাথায় লাল ফিতা বেঁধে ও গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে জাহাঙ্গীর ও তার ৫০ থেকে ৬০ জন সহযোগী বাজারে ঢুকে চাপাতি উঁচিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
অনেক ব্যবসায়ী আতঙ্কে বাজার ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং কেউ কেউ চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানান তারা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে তাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
১০ দিন আগে
চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমানের সই করা আদেশে তাদের ক্লোজ করা হয়।
ক্লোজড পুলিশ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন ২ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও ৯ জন কনস্টেবল।
এরা হলেন— এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান। কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন: আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গোমস্তাপুরের ওসির বদলি, ৭ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
স্থানীয়রা জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলন শুরু করেন স্থানীয়রা। টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ওঠে কোম্পানীগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ-সংক্রান্ত কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর তাদের ক্লোজ করে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাই আমরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের আপাতত অন্য কোনো কর্মস্থলে দেওয়া হয়নি। তাদের সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২১ দিন আগে
চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে: জামায়াতের আমির
সারা দেশে চাঁদাবাজি ও দখলদারির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা এসব করছেন, বিনয়ের সঙ্গে বলি, এগুলো বন্ধ করেন। তবে যদি আমাদের এই অনুরোধ কেউ না মানে, তাহলে বলব—আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমাদের সন্তানেরা স্লোগান দিচ্ছে—আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। যুদ্ধ চলবে। চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে (ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান) জেলা ও মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, ‘এই দেশ অনেকে শাসন করেছেন। আমাদের সন্তানেরা এত এত রক্ত কেন দিল? কারণ তারা চেয়েছে, এই সমাজ থেকে সব ধরনের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কবর রচিত হোক।’
তিনি বলেন, রাজশাহী, যেটাকে শিক্ষার ভিলেজ, শিক্ষার গ্রাম বলা হয়, আমি আশা করি ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) পর এখানে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। এখানকার মানুষ ভদ্র, বিনয়ী ও সৎ।
আরও পড়ুন: আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের: জামায়াত আমির
তবে এ সময় সম্মিলিত কণ্ঠে ‘চাঁদাবাজি হয়’ বলে আওয়াজ তোলেন জামায়াত কর্মীরা।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাহলে আমাদের শহিদদের রক্তের প্রতি এটা কি ভালোবাসা? এই কাজ যারা করেন, বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি, এই কাজটা ছেড়ে দেন। আমাদের শহিদেরা কষ্ট পাবেন। অফিস-আদালতে ঘুষ বাণিজ্য আছে, আবার মামলা-বাণিজ্যও অনেকে করেন। তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক অনুরোধ— ভাই, এই কাজগুলো করিয়েন না। আমাদের শহিদদের আত্মা বড় কষ্ট পাবে। আমাদের জীবন্ত সন্তানেরা যারা শহীদ হওয়ার নিয়ত করে রাস্তায় নেমেছিল, তারা কষ্ট পাবে। তাদের কষ্ট দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘যারা রক্ত দিয়ে আজকের এই পরিবেশ দিয়ে গিয়েছে, আমরা তাদের প্রতি ঋণী ও কৃতজ্ঞ। এই ঋণের দায় আমাদের আজীবন শোধ করতে হবে। কতজন আদম সন্তানকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবে না। আন্দোলনের শেষ দিনগুলোতে ইন্টারনেট বন্ধ রেখে, সবকিছু অন্ধকারে রেখে অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। স্তূপে স্তূপে লাশ ট্রাকের ওপর ছুড়ে মারা হয়েছে। তারপর পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে লাশগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারব না।’
এমন সাহসী সন্তান থাকলে বাংলাদেশকে নিয়ে আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুরা প্রশ্ন করেছেন, আপনাদের দলের কতজন শহীদ হয়েছে। আমরা বলেছি, যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের দলের মানুষ। কোনো দলীয় পরিচয়ে আমরা তাদের সংকীর্ণ স্থানে নামাতে চাই না। তারা জাতীয় সম্পদ। তাদের আমরা মাথার ওপরে তুলে রাখতে চাই। এক হাত চলে গেছে, আরেক হাত নিয়ে যুদ্ধ করতে চাই। এমন সাহসী মানুষ থাকলে এই জাতির ওপর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না।’
একমাত্র কোরআনের শাসন বাংলাদেশে ইনসাফ কায়েম করতে পারে উল্লেখ করে এই রাজনীতিক বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ কতক্ষণ? যতক্ষণ না ইনসাফ কায়েম হয়। এই ইনসাফ দিতে পারে একমাত্র আল কোরআন। এই কোরআনের শাসন দিয়ে আমরা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, ন্যায়-ইনসাফের মাধ্যমেই বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ত্যাগ অনেক করেছি, আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জীবন খুব ছোট, কাজ অনেক বড়; বিশ্রামের কোনো সময় নেই।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘আমরা আল্লাহর শক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি গঠন করতে চাই। সে জাতি হবে সাহসী জাতি, বীরের জাতি। সে জাতি আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথানত করবে না। এটা করেনি বলেই ১৫টি বছর আলেম-ওলামাদের ওপর বিগত সরকার তাণ্ডব চালিয়েছে। জামায়াতের দুজন আমিরসহ ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করেছে, তাদের গুম করেছে। অসংখ্য ভাইকে খুন করেছে, চাকরি কেড়ে নিয়েছে, ব্যবসা ছিনিয়ে নিয়েছে, কাউকে কাউকে দেশেও থাকতে দেয়নি। মানুষের কল্যাণে কাজ করার কারণে অনেকে জিন্দা শহিদ হয়ে আছে, হাত-পা টুকরা টুকরা। এই কষ্টের জীবন নিয়ে তারা বেঁচে আছেন।’
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীতে এদিন জামায়াতের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সোয়া ৯টায় কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীর শহিদ সাকিব আনজুমের বাবা সাইদুল হক।
মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইদুল হক। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বিদায় করতে গিয়ে আমার কলিজার টুকরা সাকিব শহিদ হয়েছে। আমি একজন গর্বিত পিতা। আমার সাকিবের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির
সাকিব আনজুম রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৫ আগস্ট রাজশাহী নগরের শাহমখদুম কলেজের কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. মো. কেরামত আলী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল। এছাড়া বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও রাজশাহী অঞ্চলের নেতারা।
৪৫ দিন আগে
ভবিষ্যতে যারা আসবেন, অতীত থেকে শিক্ষা নেবেন: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নৌপথে কোনো অরাজকতা চলবে না। আগে স্বৈরাচারী সরকার যা খুশি তা করেছে। সেটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়। ভবিষ্যতে যারা আসবেন, আসা করি অতীত থেকে তারা শিক্ষা নেবেন, কী করলে কী হয়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভোলার দৌলতখান বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করি, আগামীতে যারা সরকারে আসবেন তারা নিশ্চয়ই এই শিক্ষাটা নিয়েছেন। যদি না নিয়ে থাকেন, তাহলে আগামীতে কি হয় বলতে পারব না। তবে আমরা যতদিন আছি, অরাজকতা চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষ যাতে নিরাপদে লঞ্চে উঠতে পারে, সেজন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভোলা জেলার মনপুরাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ঘাট নির্মাণ হচ্ছে। আমি স্থান পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের কাজ অতিসত্ত্বর শুরু হবে। এ বছরের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে আশা করছি।’
এ সময় ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুর ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৬ দিন আগে
বরিশালে চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই ও ছাত্রদল নেতা আটক
বরিশালের বাবুগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফও উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশালের কাজিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদোয়ান ও বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাসেল আকন।
আরও পড়ুন: ভারতে পালানোর সময় শার্শা সীমান্তে আ. লীগ নেতা আটক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাতে কয়েকজন যুবক জুয়া খেলছিলেন। এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সেখানে হানা দেন কয়েকজন ব্যক্তি। এ সময় তারা পাঁচ যুবকের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে নেয়।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেএলাকাবাসী বরিশাল পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোন দেন। ওসি জানান কোনো পুলিশ অভিযানে যায়নি। এরপরই এলাকাবাসী দুজনকে আটকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন শিকদার বলেন, বিষয়টি যাচাই-বাছাই চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করতে বলা হয়েছে। মামলা হলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজান বলেন, তার থানার এসআই রেদোয়ান এয়ারপোর্ট থানা হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা আটক
৭১ দিন আগে
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
৭৫ দিন আগে
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেকসহ ৮ জনকে অব্যাহতি
চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্লাহ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন দরখাস্ত মারফত মামলার এজাহারে বর্ণিত চাঁদার টাকার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিশেষ মহলের চাপে বাধ্য হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এজাহারভুক্তদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন।
তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে তিনি ওই মামলা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের তিনি চিনতেন না। এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
প্রতিবেদনে বলা হয়, এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এই মামলা করতে বাধ্য করা হয় মর্মে তদন্তে জানা যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে মামলার বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ পাওয়া যাবে না। বাদীর কোম্পানিকে বাংলাদেশের কোথাও কোনো কাজ করতে দেবে না বলে হত্যার হুমকি দেয়।
পরে বাদী জীবন রক্ষার্থে চাঁদার টাকা কয়েক কিস্তিতে পরিশোধ করতে রাজি হন। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট ৫ কোটি টাকা চাঁদা বাবদ গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বাদীর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ে যান। সেতুর দ্বিতীয় দফার কাজের সময় আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সঙ্গীরা ফের কয়েক দফায় মোট ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন।
পরে বাদীর কোম্পানি মৌলভীবাজার জেলায় ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ পায়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আসেন এবং ভয় দেখিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছ থেকে কয়েক দফায় ২ কোটি টাকা নিয়ে যান। সব মিলিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে বলপূর্বক আদায় করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
৯৭ দিন আগে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালে রাজধানীর কাফরুল থানায় এসব মামলা করা হয়েছিল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক-ফখরুলসহ ৫ জন
আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে চাঁদাবাজি করেছেন- এমন অভিযোগ এনে দুই জন ব্যবসায়ী ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় কাফরুল থানায় চারটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এসব মামলা জরুরি ক্ষমতা বিধিমালার আওতায় আনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৮ সালেই মামলাগুলোর কার্যকারিতা স্থগিত করে এসব মামলার কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল করেছেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, এ মামলায় খায়রুল কবির খোকনও আসামি ছিলেন। এখন মামলাগুলো আর কারও বিরুদ্ধে চলবে না।
জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, আয়কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা করা হয়। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ চান তারেক
১৩৩ দিন আগে
বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে অনুপ্রবেশকারীরা: সেলিমা রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, যারা বিএনপির নামে চাঁদাবাজি করছে, তারা আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী।
তিনি বলেন, 'এখনো বিএনপির নামে চাঁদাবাজির নানা কথা (অভিযোগ) হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপির নামে যারা এসব করছে তারা আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী। সাবধানে থাকুন। দলে নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করবেন না।’
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান উপলক্ষে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জিয়া প্রজন্ম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সেলিমা রহমান দাবি করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন এখন বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করছে এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় বিএনপিতে যোগ দিচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারাই এদেশের ভবিষ্যৎ এবং এ দেশ শাসন করবে। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সততার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির শরিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও সুসংহত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা চাই গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকুক। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেলিমা বলেন, নতুন প্রজন্ম ভোটার হয়েছে কিন্তু ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতায় আঁকড়ে থেকে যা খুশি তাই করেছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের ছাত্র-জনগণের আন্দোলনের সময় তিনি (শেখ হাসিনা) নির্বিচারে গুলি করে মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছেন।’
সেলিমা রহমান বলেন, স্বৈরশাসকের লোকেরা এখনো বসে না থেকে তারা দলের আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা, শ্রমিক অসন্তোষ ও ঘৃণ্য কর্মসূচি চালাচ্ছে।
এসব অপতৎপরতার পেছনে যারা আছেন তাদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন এবং তারা এই বিশৃঙ্খলা ও শ্রমিক অসন্তোষে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
জিয়া প্রজন্মের সভাপতি পারভীন কাওসর মুন্নীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
১৭২ দিন আগে
চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
মূল্যস্ফীতি কমানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে সরকারের এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন।
অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছি। এ বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক অবস্থান নিইনি এবং অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: ভয় না পেয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করুন: অর্থ উপদেষ্টা
চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত জটিলতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। ‘যখন এক দল বেরিয়ে যায়, তখন অন্য দল অনিবার্যভাবে ওই শূন্যস্থানে চলে আসে। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’
আগস্টে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা নিম্নমুখী হওয়ায় জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করা কেবল সরবরাহ বাড়ানোর চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন সম্পর্কিত কারণগুলো তুলে ধরার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ঘাটতি রোধে সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘খুচরা দামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অবস্থান হলো, ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানো উচিত নয়।’
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন ।
তিনি সরকারের পদক্ষেপের সুষ্ঠু মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রাতারাতি কমবে না।
অতীতের মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন পূর্ববর্তী প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থ মুদ্রণের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট 'খুব নোংরা', শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি দাবি করেন যে ওই সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।
ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি চলমান প্রকল্পগুলোতে শুধু সহযোগিতাই অব্যাহত রাখছে না, বরং নতুন নতুন উদ্যোগেরও প্রস্তাব দিচ্ছে। ইউএনডিপি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি খাতে সমর্থন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউএনডিপি এ ধরনের দক্ষতা সরবরাহে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুব প্রতিক্রিয়াশীল ছিল এবং তাদের অব্যাহত সহায়তার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
১৭৬ দিন আগে