চাঁদাবাজি
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালে রাজধানীর কাফরুল থানায় এসব মামলা করা হয়েছিল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক-ফখরুলসহ ৫ জন
আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে চাঁদাবাজি করেছেন- এমন অভিযোগ এনে দুই জন ব্যবসায়ী ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় কাফরুল থানায় চারটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এসব মামলা জরুরি ক্ষমতা বিধিমালার আওতায় আনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৮ সালেই মামলাগুলোর কার্যকারিতা স্থগিত করে এসব মামলার কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল করেছেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, এ মামলায় খায়রুল কবির খোকনও আসামি ছিলেন। এখন মামলাগুলো আর কারও বিরুদ্ধে চলবে না।
জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, আয়কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা করা হয়। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ চান তারেক
৪ সপ্তাহ আগে
বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে অনুপ্রবেশকারীরা: সেলিমা রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, যারা বিএনপির নামে চাঁদাবাজি করছে, তারা আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী।
তিনি বলেন, 'এখনো বিএনপির নামে চাঁদাবাজির নানা কথা (অভিযোগ) হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপির নামে যারা এসব করছে তারা আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী। সাবধানে থাকুন। দলে নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করবেন না।’
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান উপলক্ষে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জিয়া প্রজন্ম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সেলিমা রহমান দাবি করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন এখন বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করছে এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় বিএনপিতে যোগ দিচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারাই এদেশের ভবিষ্যৎ এবং এ দেশ শাসন করবে। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সততার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির শরিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও সুসংহত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা চাই গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকুক। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেলিমা বলেন, নতুন প্রজন্ম ভোটার হয়েছে কিন্তু ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতায় আঁকড়ে থেকে যা খুশি তাই করেছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের ছাত্র-জনগণের আন্দোলনের সময় তিনি (শেখ হাসিনা) নির্বিচারে গুলি করে মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছেন।’
সেলিমা রহমান বলেন, স্বৈরশাসকের লোকেরা এখনো বসে না থেকে তারা দলের আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা, শ্রমিক অসন্তোষ ও ঘৃণ্য কর্মসূচি চালাচ্ছে।
এসব অপতৎপরতার পেছনে যারা আছেন তাদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন এবং তারা এই বিশৃঙ্খলা ও শ্রমিক অসন্তোষে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
জিয়া প্রজন্মের সভাপতি পারভীন কাওসর মুন্নীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
২ মাস আগে
চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
মূল্যস্ফীতি কমানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে সরকারের এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন।
অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছি। এ বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক অবস্থান নিইনি এবং অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: ভয় না পেয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করুন: অর্থ উপদেষ্টা
চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত জটিলতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। ‘যখন এক দল বেরিয়ে যায়, তখন অন্য দল অনিবার্যভাবে ওই শূন্যস্থানে চলে আসে। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’
আগস্টে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা নিম্নমুখী হওয়ায় জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করা কেবল সরবরাহ বাড়ানোর চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন সম্পর্কিত কারণগুলো তুলে ধরার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ঘাটতি রোধে সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘খুচরা দামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অবস্থান হলো, ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানো উচিত নয়।’
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন ।
তিনি সরকারের পদক্ষেপের সুষ্ঠু মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রাতারাতি কমবে না।
অতীতের মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন পূর্ববর্তী প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থ মুদ্রণের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট 'খুব নোংরা', শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি দাবি করেন যে ওই সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।
ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি চলমান প্রকল্পগুলোতে শুধু সহযোগিতাই অব্যাহত রাখছে না, বরং নতুন নতুন উদ্যোগেরও প্রস্তাব দিচ্ছে। ইউএনডিপি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি খাতে সমর্থন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউএনডিপি এ ধরনের দক্ষতা সরবরাহে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুব প্রতিক্রিয়াশীল ছিল এবং তাদের অব্যাহত সহায়তার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা
শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি করে কেউ যাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করতে না পারে সেজন্য সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি পুরো দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে।’
সোমবার (২৬ আগস্ট) বান্দরবান সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে বান্দরবান জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। অর্ন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। আমাদের ইচ্ছামতো সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারব না। তবে সদস্যদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুইজন ছাত্র প্রতিনিধিকে রাখা গেলে ভালো হবে।’
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করা হবে। তারা এলাকার মঙ্গলের জন্য কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্দেহে সাধারণ বমদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে মুক্তির বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে থাকায় এ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টিকতে পারে না। তাই দারিদ্র্য বিমোচন তথা মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি এই এলাকার মানসম্পন্ন সুশিক্ষা এবং পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাব।
এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করা হবে বলে জানান সুপ্রদীপ চাকমা।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভা শেষে বান্দরবান জেলার সুশীল সমাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পার্বত্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢামেকে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে গণতন্ত্রে উত্তরণের রোডম্যাপ নেই: ফখরুল
২ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
যে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গত বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার(১৫ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো যাবে না: আইজিপি
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের চাঁদা আদায়ের খবর প্রচারের পরপরই ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)।
বরখাস্তরা হলেন- এসআই (নিরস্ত্র) শেখ নজরুল ইসলাম, এসআই (অস্ত্র) আসাদুজ্জামান এবং তিন কনস্টেবল নাজির শেখ, যুগল মণ্ডল ও তানভীর হোসেন আকাশ।
ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (অপরাধ) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোরবানির পশুর হাটে কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যেই দোষী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
৫ মাস আগে
জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
ঈদের আগে দাবি করা টাকা না দেওয়ায় সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদকে হত্যার হুমকিসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৫ জুন) সুমনা মেডিকেলের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আখতার হোসেন হাসপাতাল থেকে চাঁদার টাকা আদায়ের জন্য সহসভাপতি মেহেদী বাবুকে সুমনা হাসপাতালে পাঠান। এছাড়া রবিউল ইসলাম রবিকে পাঠান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ফরাজী।
হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন বলেন, 'তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করা চাঁদা পরিশোধ করেনি। ফলে সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন ফোনে তাদের হুমকি দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করেছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা
সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এটা (চাঁদাবাজি) আগে হয়নি। জবি ছাত্রলীগ নিয়ে কমিটিতে আসার পর থেকেই তারা বিরক্ত করছে। মেহেদী বাবু কালো চেহারার একটা ছেলেকে নিয়ে আসেন। ফোনে গালিগালাজও করেন আখতার। ঘটনাটি সম্পর্কে তাকে (আখতার) হয়তো ভিন্নভাবে (বাবু) বলা হয়েছে। উত্তেজনার মুহূর্তে এটি করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় ছাড় দিয়েছি।’
কত টাকা দাবি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'টাকার পরিমাণ তিনি বলেননি। শুধু টাকা চেয়েছিলেন। চাঁদা না দেওয়ার জন্য আক্তার আমাকে ফোন করে গালিগালাজ করে। পরে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী আমাকে ফোন করে আমার সঙ্গে কথা বলেন, তারা কিছুটা নরম হয়েছেন। সমঝোতার কথা বলেছেন। এটা প্রায় সবসময়ই হয়ে থাকে।’
এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'এটা করলে কী হবে, আমার ব্যবসা এখানেই। পরে দেখা যাবে, অন্যরা ঝামেলা করবে।’
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, 'মেহেদী বাবু ঢাকায় নেই। তিনি বাড়িতেই আছেন। আমার কাছে ইমাদ সাহেবের নম্বর নেই। আমি তাকে ফোন করিনি। প্রায় দেড় বছর থেকে সুমনা হাসপাতালে যাই না।’
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে চাঁদাবাজের কোনো স্থান নেই। আমরা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছি না। কেউ হয়তো আমাদের নামের অপব্যবহার করছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা জয় গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
৫ মাস আগে
সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে নওগাঁয় ৩৩ জন গ্রেপ্তার
নওগাঁয় পৃথক অভিযান চালিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি চক্রের ৩৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের বিশেষ দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে রাজশাহী র্যাব কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুণীম ফেরদৌস।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- সোহেল মৃধা (৩৫), হাফিজুল ইসলাম (৩৫), সুর্যকান্ত সরকার (৩৮), আতোয়ার (৪৫), শিপন (৩২) আতোয়ার হোসেন (৩৪), মামুন হোসেন (৪২), শামিম হোসেন (৪৫), জাকির হোসেন (৩২), পিন্টু রহমান (৪৪), মজিদ সরকার (৫৮), আরিফ হোসেন (৩৫), মুকুল হোসেন (৪৪), হারুন অর রশিদ (৬৪), আব্দুল মজিদ (৪২), জুয়েল হোসেন (৪০), সাজু (২৮), ঠান্ডু মন্ডল (৪৫), মাসুদ রানা (৩৮), শাহিন আলম (৪৬), রাকিব শেখ (২৮), পা সুমিত রায় (৩২), সুজন কুমার (২২), গোপাল দাস (৫২), আব্দুল লতিফ (৫২), টিপু সুলতান (৫২), ফিরোজ মন্ডল (৪০), মোস্তাক আহমদে (৫৩), সুলতান আলম মিলন (৫০), মঞ্জু (৫৯), আব্দুর রাজ্জাক (৫৪), পলাশ (৪৪) ও সুমন হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে অস্ত্র-ইয়াবা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুণীম ফেরদৌস বলেন, ‘শনিবার দুপুরে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানি ও সিপিএসসি যৌথভাবে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ৮টি রশিদ বই, ২টি টালি খাতা ও আদায় করা চাঁদার নগদ ১৫ হাজার ৯২৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রশিদ বইয়ের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে থাকে এবং টালি খাতায় চাঁদার পরিমাণ ও চালকের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখে।
‘আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাউচারের (রশিদ, টোকেন) মাধ্যমে সিএনজি, অটোরিকশা ও লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দিলে আসামিরা তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও মারধর করেন, গাড়িও ভাঙচুর করে থাকে তারা।’
আসামিদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় পৃথক তিনটি চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত এক মাস ধরে তাদের ওপর নজরদারি রাখা হয়েছিল। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আসামিদের শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেপ্তার
৫ মাস আগে
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবহনে চাঁদাবাজি চলছে।
এটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি এবং ফলাফল একদিন আসবে।’
বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি অল্প সময়ের মধ্যে সরকার পরিবর্তনের দিবাস্বপ্ন দেখছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প নেই। সুতরাং তারা (বিএনপি) যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায় তবে তাদের আরেকটি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ওপর মানুষ খুশি। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বস্ত এবং এদেশের মানুষ তার সততা, পরিশ্রম ও নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি না- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি না এটি দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
রমজানে আন্দোলন অব্যাহত রাখলে বিএনপি আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে: কাদের
৮ মাস আগে
সমাজে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ করুন: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমার সহকর্মী সংসদ সদস্যদের কাছে আমার আবেদন। আসুন আমরা এই একটি কারণে ঐক্যবদ্ধ হই, যেখানে কোনো পয়সা খরচ হবে না। কিছুই লাগবে না। আমরা তাদের সমর্থন করব না, শুধু তাদের প্রতিহত করব। আমার মনে হয়, এটা করলেই বাংলাদেশ টিকে থাকবে।’
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদা দিতে হয়। এতে মোট দাম বাড়ে। বাড়ি নির্মাণ করতে হলে চাঁদা দিতে হয়।’
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
কেউ যদি চাঁদার টাকা দিতে না চায় তাহলে তাকে রড, ইট, সিমেন্ট বা বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গরিব হকারদের কাছেও চাঁদাবাজি করা হয়, রিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজরাও থাকে। চাঁদাবাজি একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।’
এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে ভয়ংকর সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের সমর্থন না করতে এবং তাদের প্রতিহত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপউপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
‘চবি ছাত্রলীগ এই অর্থ ভাগাভাগির অংশীদার হতে চায়, যা তারা আগেও করেছে।’
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে
গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে রাতভর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে চেয়ারম্যান সমর্থকরা।
১৩ ফেব্রুয়ারি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার ফরচুন ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে কারখানার ভেতরে ডুকে ম্যানেজার জহিরুল ইসলামকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনসহ ১০-১২জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও মানহানি মামলা দায়ের করে ফরচুন ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার মো. জহিরুল ইসলাম।
এই মামলায় বুধবার রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মাদকদ্রব্য জব্দ, গ্রেপ্তার ২
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব মোর্শেদ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর উত্তর পাশে কয়েকটি স্থানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে খোকনের কর্মী-সমর্থকরা।
এতে সড়কের দু’পাশে আটকা পড়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী কয়েকশ গাড়ি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নারীকে অপহরণের চেষ্টা, ২ যুবক গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে