রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল ৪,০০০ কোটি টাকা এবং তেলের বিল ২,০০০ কোটি টাকা। শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে বকেয়া রয়েছে ৩,০০০ কোটি টাকা।’
ঘরবাড়ি ও কারখানাতে দেয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরিই অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতিসহ (বিকেএমইএ) বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগের কথা শুনেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প কারখানাগুলোতে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
এ খাতের উন্নয়নে সমস্যা ও বাধা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত এবং তা নিরসনে সরকারকে পরামর্শ দিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের সক্ষমতা আছে। এ নিয়ে আমাদের কিছু স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাও রয়েছে।’
সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে ভাবছে কি না সে সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। আমরা জানি জ্বালানির দামের সাথে সব পণ্যের একটা যোগসাজস রয়েছে। তাই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হবে কি না তা আমরা ভাবছি।’
বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান (সচিব) সুবির কিশোর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠনে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীও বক্তব্য দেন।