জ্বালানি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রূপপুর প্রকল্পের বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করবে এবং বাংলাদেশে আরও রাশিয়ান বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। 'আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠক চলাকালীন, ম্যান্টিটস্কি রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার তিন বছরেরও বেশি মেয়াদে তার ঘটনাবহুল সময়ের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।
তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, যা আগামী বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম, রাশিয়ার গম ও সার রপ্তানি এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এ সময় সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসান মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
২ মাস আগে
বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করলেন অধ্যাপক ইউনূস-প্রধানমন্ত্রী ওলি
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা, জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
নিউইয়র্ক সময় বুধবার বিকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে বাংলাদেশে নেপালের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিষয়টিও উঠে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংস্কারে ৩৫০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: অজয় বাঙ্গা
নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত। নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক, জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য আগামী মাসে একটি চুক্তি হতে পারে।
আলম বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউএসএআইডির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সামান্থা পাওয়ার; পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ; জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক; বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল সিইও মার্ক সুজম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এছাড়াও জাতিসংঘের সামাজিক ব্যবসা, যুব ও প্রযুক্তি বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং মানবাধিকার কর্মকর্তাদের ও সামাজিক অধিকার বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্ক টাইমসের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি কথোপকথনেও যোগ দেন যা নিউইয়র্ক টাইমস স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী চীন
২ মাস আগে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে এবং সেসব বোর্ড থেকে সচিবদের অপসারণ করা হবে।
বুধবার পেট্রোবাংলা মিলনায়তনে পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের (জিএসবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সচিব যদি কোনো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হন, তাহলে তা মন্ত্রণালয়ের স্বার্থের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ এবং এটি অনৈতিক।’
কোম্পানিগুলোর পর্ষদে ছাত্রপ্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে দুর্নীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব মামলা আইনগত বিষয় এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
তবে প্রয়োজনে সাবেক বিচারপতিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান ফাওজুল কবির খান।
যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'শাসনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা বুঝতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা যদি 'রাজপথের ভাষা' বুঝতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের কী হবে তা বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে মানুষ কেন রাস্তায় নেমেছিল, কেন তারা রক্ত দিয়েছিল।’
বর্তমান সরকারের ভাবনার দর্শন অনুধাবন করে সে অনুযায়ী কাজ করতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এবং নিয়মিত প্রতিবেদন দিতে বলেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৩ মাস আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল জরুরি: বক্তারা
সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নিবেদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিল গঠন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
তারা বলছেন, নিবেদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিল গঠন ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব হবে না।
শনিবার (১ জুন) ‘সেকেন্ড ঢাকা রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড ফাইন্যান্স টক’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা সবুজ জ্বালানি তহবিল গঠন বিষয়ে এই পরামর্শগুলো তুলে ধরেন।
রাজধানীর সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ নামে একটি সংগঠন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও জলবায়ু প্রতিবেদক তাহমিদ জামি।
বিশ্বব্যাংকের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স অ্যান্ড পি কনসালটেন্ট এম মুরশেদ হায়দার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য তহবিলের অভাব।
তিনি বলেন, ‘সবুজ পণ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পুনঃঅর্থায়ন স্কিম রয়েছে, কিন্তু সবুজ জ্বালানির উন্নয়নে ডেডিকেটেড নবায়নযোগ্য তহবিল নেই।’
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ থেকে সুরক্ষা এবং উচ্চতর মুনাফা অর্থায়নের ক্ষেত্রে মূল বিষয়, যা নীতি সহায়তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা দরকার।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ডেডিকেটেড অর্থায়ন স্কিমের অভাবের কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও স্বীকার করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন ব্যবহারের কিছু মানদণ্ড রয়েছে যা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা পূরণ করতে পারে না। ফলে ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা চায়।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ বিএনপির
বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কিছু অর্থ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এই তহবিলগুলোর আর্থিক ক্লোজিং একটি বিশাল সময় নেয়। কারণ বিনিয়োগকারীদের তহবিল গ্রহণের জন্য কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ছাদে সৌর বিদ্যুতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সফল ব্যবসায়িক মডেল বিকশিত হয়নি, যার ভিত্তিতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সিদ্দিক আহমেদ এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাসটেইনেবিলিটি ইউনিটের চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন।
সেমিনারের আরেক সেশনে স্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, সার্বিকভাবে ভর্তুকি ভালো নয়। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রূপান্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য।আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
দেশে কৃষিজমির সেচের পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্বিতীয় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার উপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে নিচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেছি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব খাতের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস ও জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাসই করে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ও জীবনমান উন্নত করে।
মন্ত্রী এই রূপান্তরে উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ যেমন গ্রিন বন্ড, জলবায়ু তহবিল এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছে, ঋণ নয় অনুদান প্রত্যাশা করি। এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আমাদের জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি করতে পারি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহুমুদ, পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অলটারনেটিভ ল ইক্লেক্টিভের গবেষণা পরিচালক জেইন মৌলভী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
বাংলাদেশের জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
বাংলাদেশের জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাত বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহডিভিরতা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় তার দেশের অধিক দক্ষতা রয়েছে এবং তাই তারা এ খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করতে ফিনল্যান্ড থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল শিগগিরই ঢাকায় আসবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে অবশেষে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ করতে যাচ্ছে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সমৃদ্ধির পথে যাত্রা মসৃণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে জিএসপি+ সুবিধা আরও কয়েক বছর (বৃহত্তর সময়) পেতে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ফিনল্যান্ড-গুয়াতেমালা ও আয়ারল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তার ফিনল্যান্ড সফর এবং ২০০৮ ও ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা ও কোভিড-১৯ মহামারির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সহায়তা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' শীর্ষক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে 'গুড নেইবারহুড’ সম্পর্ক অনুসরণ করছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: আপনাদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন পাশে থাকব: পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
আগামী ২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ৮০৪ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ায় আগামী দুই অর্থবছরে এ খাতে ৮০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৪২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে।
সরকার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।’
'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' শীর্ষক নথিতে বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্যসহ) উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন ৮ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৬৭২ কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান সক্ষমতা প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট।
নথিতে আরও বলা হয়, সরকার মোট ১ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে ৬১৮ এমএমসিএফডি গ্যাস যোগ করতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা
এছাড়া মোট ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ হাজার ৫৭০টি সোলার সেচ পাম্প এবং গ্রিড বহির্ভূত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণের জন্য ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বলেও ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, উৎপাদন ও সরবরাহ উভয় ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯টি গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে এবং দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি অনুসন্ধান কূপ খনন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা থেকে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা যোগ হতে পারে।
একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা থেকে দৈনিক আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন সক্ষমতা বাড়বে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় দক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আন্তঃদেশীয় জ্বালানি পরিবহনের জন্য একটি আঞ্চলিক পাইপলাইন নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের ভিত্তিতে জ্বালানির নিয়মিত মূল্য সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
সরকার জ্বালানি শোধনাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস উভয়ের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন এবং সমতল ও উপকূলীয় অঞ্চলে উভয় জরিপের মাধ্যমে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানের উপর জোর দিয়েছে।
পাশাপাশি জ্বালানি দক্ষতা ও সিস্টেম লস হ্রাসকেও অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে বলে এতে বলা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, গ্যাস বিতরণ খাতে সিস্টেম লস দুই বছর আগে ছিল ২২ শতাংশ, তা থেকে কমিয়ে তা এখন সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণে সিস্টেম লস ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ছিল ২২ শতাংশ।আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
৭ মাস আগে
বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
মে মাসের জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের খুচরা মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে।
এপ্রিলের শেষ দিন নতুন দামসহ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১ মে থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে পুড়েছে তেলের গুদাম
দেখা যায়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল প্রতি লিটার আড়াই টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং অকটেন ১২৬ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নতুন এই দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
গত ৭ মার্চ প্রথম স্বয়ংক্রিয় মূল্য কার্যকর হয়।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ মার্চ দেশব্যাপী জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে 'জ্বালানি মূল্য নির্দেশিকা' জারি করে সরকার।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় মূল্য বাড়বে-কমবে এবং প্রতি মাসে সরকার এক মাস মেয়াদে এ ধরনের দাম ঘোষণা করবে।
এদিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটারে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটারে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১ মে অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিনের খোলা তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাত তেলের
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের
৭ মাস আগে
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।
আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।
সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
৮ মাস আগে
শিবগঞ্জের ৭ লাখ মানুষের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ
জ্বালানির জন্য তহবিলের ঘাটতির কারণে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা। সাত লাখ বাসিন্দার অত্যাবশ্যকীয় জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় স্বাস্থ্যসেবায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আর এই সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতাল কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বজনদের।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় স্কুলছাত্র নিহত
অ্যাম্বুলেন্স সেবার অনুপস্থিতি স্থানীয় রোগী ও স্বজনরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো যারা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা বহন করতে পারে না।
যারা আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে থাকেন শুধু্ তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না। অন্যান্য জরুরি পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের বহন করতে হচ্ছে স্বচ্ছল বাসিন্দাদেরও।
আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা এই হাসপাতালেই সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ১০০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন ৪০০ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় একটি পেট্রোল স্টেশনে ১৪ লাখ টাকার বকেয়া ঋণ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি বাবদ। যার ফলে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুর রশিদ সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন।
তহবিল আসার পর শিগগিরই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব!
১০ মাস আগে