পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটের তিনটি পন্টুন ডুবে গেছে। এতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ ডুবে যাওয়া পন্টুনগুলো পর্যায়ক্রমে ক্রেনের মাধ্যমে নিচের লেবেল থেকে মাঝারি লেবেলে তুলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের এজিএম আবদুস সালাম বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়ার তিনটি ঘাট ও দৌলতদিয়ার অপর তিনটি ঘাটের পন্টুন পানিতে ডুবে যায়। এতে ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন ওঠানামায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সংকট নিরসনে রেকার দিয়ে সকাল ১০টা নাগাদ পাটুরিয়ার ৩ নম্বর ঘাটটি নিচে থেকে উপরের লেভেলে তোলা হয়। দুপুরেরর দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ও ৬ নম্বর ঘাট নিচের লেভেল থেকে ওপরে তোলা হয়। আর বেলা ৩টার দিকে পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ও সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৫ নম্বর ঘাটটি ওপরের লেভেলে তোলা হয়। ঘাটগুলো নিচের লেভেল থেকে ওপরের লেভেলে তোলার সময় ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করতে পারেনি। এতে সাময়িকভাবে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঘাট এলাকায় যানবাহনের একটা সারি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ভাঙন-ঝুঁকিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাটুরিয়াঘাটে দুই শতাধিক ও দৌলতদিয়াঘাটে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পণ্য ও মালবাহী ট্রাক।
সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে পাটুরিয়ার তিনটি ঘাট ও দৌলতদিয়ার ৪টি ঘাটই সচল হওয়ায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়।
এই নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করায় যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে খুব একটা ভোগান্তি হবে না বলেও জানান বিআইডব্লিউটিসির এই কর্মকর্তা।