সোনালি ব্যাগ ও পাট ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত পণ্য বাণিজ্যিকভাবে বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের অন্যতম শত্রু পলিথিন বন্ধ করতে বিকল্প ব্যাগ হিসেবে সোনালি ব্যাগ আবিষ্কার করা হয়েছে। শিগগিরই এই ব্যাগ বাজারে এনে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নানক বলেন, ‘পলিথিনের বিকল্প আবিষ্কার করেছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট। সেটিও বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদনে আনা হবে। এক্ষেত্রে সফল হলে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে।’
সোনালি ব্যাগ ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত ব্যাগের দাম কমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পলিথিন এখন বাজারে এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে, এটি মানবজীবনের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকারক। এ নিয়ে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, চাল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজসহ ৮২টি পণ্য আছে, যা বহন করতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। খুলনা, দিনাজপুর, রংপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী ও সিলেটে শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল পাট দিয়ে চা উৎপাদনে। এরইমধ্যে ‘রোজেলা টি’ ও ‘পাটপাতার চা’ নামে দুটি চা আবিষ্কার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই রোজেলা টিতে অনেক উপকার আছে। এগুলো শিগগিরই বাজারজাত করা হবে।
পাটপণ্য রপ্তানি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য রপ্তানি করতে হলে দেশে পাট উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। পাট উৎপাদনের এলাকাও আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাটপণ্যে বৈচিত্র্যও আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে।