শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে বই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বই আমরা দিতে চাই সময় মতো। তার মানটাও ঠিক রাখতে চাই। এখন যদি কাগজের পাল্প পাওয়াই না গেলো, তখনতো সেকেন্ডারি পাল্প দিয়ে হলেও কাগজ তো আমার দিতে হবে। সেখানে যদি কিছুটা হেরফের হয় কিন্তু সেখানে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় তো হতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, এমনিতেও তো আপনারা প্রত্যেকবার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আমাদের ৩৫ কোটি বই সবগুলো তো আসলে চেক করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা চাই এটাকে মানে রাখতে। যতটুকু পর্যন্ত মানের রাখার সম্পূর্ন চেষ্টা আমাদের থাকে। এবারও সেই চেষ্টা থাকবে। বিভিন্ন ধরনের যে বাস্তবতা থাকে সেগুলোকেও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কাল থেকে ছাপা শুরু হবে। যে মানের আমরা চাই, সেটা তারা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।
প্রতি বছরের শুরু দিনটিই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে বই উৎসব পালন করে আসছে সরকার। তবে করোনার কারনে গত দুই বছর এই উৎসব হয়নি। এবার করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় পুরোনো সেই ধারায় ফিরতে চায় সরকার।
সে হিসেবে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত ১৯ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বইয়ের কাজগুলো একটু পিছিয়ে আছে। তবে আশা করছি বছরের প্রথম দিনই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছাতে পারব। প্রেসগুলোর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তারা যেভাবে বলেছে, তাতে ১ জানুয়ারি বই দিতে পারার কথা।’
দীপু মনি বলেন, ‘বৈশ্বিক কারণে আমাদের পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। সে রকম যদি অপ্রত্যাশিত কোনো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির তৈরি না হয়, তবে আমরা বিশ্বাস করি, সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে পারব।’