সম্প্রতি জারি করা গভর্নমেন্ট সার্ভিস (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চস্তরের কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। অর্ডিন্যান্সটি সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আপত্তির সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতাদের একটি স্মারকলিপি গ্রহণ করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। সরকার তাদের আপত্তি শোনার জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত। আমি যতদূর জানি, একটি উচ্চস্তরের পরামর্শক কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিকে তাদের আপত্তিগুলোর ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করার ও উপযুক্ত সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত সরকারের এই ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয়। তারা অর্ডিন্যান্সটি পুনরায় পর্যালোচনা করতে প্রস্তুত।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘কমিটি আজ বা আগামীকাল গঠন করা হবে। পরামর্শক স্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুশ-ইন বন্ধে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, সরকার এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। ‘যদি আমাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, আমি আন্তরিকভাবে তাদের উদ্বেগ শোনাব এবং পরামর্শক পরিষদের বৈঠকে তাদের তুলে ধরার চেষ্টা করব।’
ঈদুল আজহার পর যদি অর্ডিন্যান্সটি বাতিল না করা হয়, তবে কর্মচারীদের নেতাদের কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারির বিষয়ে প্রশ্ন করলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সহ-সভাপতি মো. বাদিউল কবির বলেন, ‘আমরা ঈদের ছুটির পর ১৬ জুন আবার বৈঠক করব। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান হবে। এই দমনমূলক এবং কালো আইনটি বাতিল করতে হবে।’