বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সই করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এক্সেলারেট এনার্জি।
এসপিএ'র আওতায় পেট্রোবাংলা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এক্সেলরেটের কাছ থেকে বছরে শূন্য দশমিক ৮৫ থেকে ১ মিলিয়ন টন (‘এমটিপিএ’) এলএনজি কিনতে সম্মত হয়েছে।
এক্সেলারেট ২০২৬ ও ২০২৭ সালে শূন্য দশমিক ৮৫ এমটিপিএ এলএনজি এবং ২০২৮ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ১ এমটিপিএ সরবরাহ করবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে গাড়ি ও মানুষ পোড়ানোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
তিনি বলেন, 'সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আপনাদের আমেরিকান ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা উচিত।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, এক্সেলারেট এনার্জির এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রামন ওয়াংদি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং এক্সেলারেট এনার্জির কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
নসরুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন এই চুক্তি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
জ্বালানি খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন ৬০ শতাংশ কোম্পানি আমেরিকান।
পিটার ডি হাস বলেন, আমেরিকান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
দীর্ঘমেয়াদি এসপিএ বাংলাদেশে এক্সেলারেটের ব্যবসা একীভূত করার পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপের প্রতিনিধিত্ব করে বলে এসময় উল্লেখ করা হয়।
এক্সেলারেট ২০১৮ সালে তার সমন্বিত মহেশখালী এলএনজি ভাসমান স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) টার্মিনাল উন্নয়নের মাধ্যমে এলএনজির জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে।
পরের বছরগুলোতে, সংস্থাটি বঙ্গোপসাগরে একটি দ্বিতীয় এফএসআরইউ টার্মিনাল স্থাপন করেছে এবং বাংলাদেশে স্পট এলএনজি কার্গো বিক্রয় জয়ের জন্য তার অবকাঠামোগত অবস্থানটি ব্যবহার করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এক্সেলারেটের দুটি এফএসআরও দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ