বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
এর ফলে পৌরসভাগুলোর ১২ হাজার ৫১৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী উপকৃত হবেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় গত ২৬ মার্চ হতে দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি চলছে। এর মাঝে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ৩২৮ পৌরসভা তাদের সীমিত সম্পদ ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পৌর এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইন ও জনসাধারণের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ, জীবাণুনাশক স্প্রে, লাশ দাফন, কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা দমনে পৌর কর্মীরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
কিন্তু গত দুই মাস ধরে পৌরসভার রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক পর্যায়ে না থাকায় অধিকাংশ পৌরসভার বেতন-ভাতা বকেয়া ছিলে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে পৌরসভার নিয়মিত রাজস্ব আদায়ের খাত হেল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, হাট-বাজারের ইজারা, দোকান ভাড়াসহ যাবতীয় রাজস্ব আয় প্রায় দুই মাস যাবত বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া, জরুরি সেবা দেয়ার জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রায় সব পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। বেতন না পেয়ে দুই মাস পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি গোচর হলে তিনি এ আর্থিক অনুদান দেন।