বেতন-ভাতা
বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরে ৩ কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুরের তিনটি কারখানার শ্রমকিরা।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ
১২ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বাঘের বাজার জোনের পরিদর্শক সুমন মিয়া জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে সকালে কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করেন। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক বন্ধ কারখানার ভেতরে জোর করে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন তারা।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টায় কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
২ মাস আগে
পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
শ্রমিকদের কাছে ঈদুল আজহা আনন্দময় করতে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে পোশাক শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা। ফলে শ্রমিকরা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারবেন।
শনিবার (১৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন-ভাতা পরিশোধের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বিজিএমইএ।
এতে বলা হয়, পোশাক খাতের মোট ২ হাজার ১৬০টি কারখানার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৩৫টি এবং চট্টগ্রামে ৩২৫টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে সব কারখানার মে মাসের বেতন ও ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা শতভাগ পরিশোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে
তবে এখনো মাত্র ৪টি কারখানায় উৎসব ভাতা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন। যা শনিবারের মধ্যেই পরিশোধ করবেন।
বিজিএমইএ বলছে, তাদের জানামতে আর কোথাও বেতন-ভাতা পরিশোধ বাকি থাকার কোনো তথ্য নেই।
সরকারের আহ্বানে ও বিজিএমইএ’র অনুরোধে পোশাক কারখানাগুলো ১৩ জুন থেকে ১৫ জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিককে ছুটি দিয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শ্রমঘন পোশাক শিল্প খাতে বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধার্থে সরকারি ছুটির দিনে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার তফসিলি ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখতে বিজিএমইএ অনুরোধ জানিয়েছিল।
এছাড়া বিজিএমইএ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে সরকারি ছুটির দিনে ইপিবি, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টমস, মোংলা কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস ও পানগাঁও কাস্টমস হাউজ এবং ঢাকা ও চট্রগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় এবং একইসঙ্গে এসব কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশন-সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংকের শাখা ও অন্যান্য স্টেকহোলিং প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
৬ মাস আগে
২ মাস বেতন-ভাতা বন্ধ ১৭০ জন চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৭০ জন চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে ২ মাস ধরে।
আগের কর্মকর্তা বদলির পর যোগদান করা নতুন কর্মকর্তা শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র না নিয়ে আসায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
এতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাদান কার্যক্রম, ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের।
গত মাসে যোগদান করা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অবহেলার কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক-নার্স কর্মচারীদের।
এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজায় বেতন-বোনাস না পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরর্ত ১৩ জন সনাতন ধর্মের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের আনন্দ ম্লান হয়েছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে সনাতন ধর্মের কয়েকজন কর্মচারী জানান, উচ্চ পদে যারা চাকরি করেন, তাদের পয়সার অভাব নেই। এদিকে ওদিক করে তারা চলতে পারে। আমরা কর্মচারী, দিনশেষে বেতন-বোনাসের টাকা দিয়ে চলতে হবে। এবার পূজোয় বাচ্চাদের সামনে দাঁড়াতে পারিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমাসের বদলির পর ১ সেপ্টেম্বর ডা. শাকিলা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই পদে যোগ দেন। ওই আদেশে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের কথা থাকলেও কর্মস্থলে যোগ দেন ১৩ সেপ্টেম্বর।
হাসপাতালের কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ- যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিস করেন না উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাকিলা আক্তার।
তার অনুপস্থিতির সুযোগে জরুরি বিভাগ, ইনডোর ও আউটডোরে শুরু হয়েছে অব্যবস্থাপনা। নিয়মিত বসছে না চিকিৎসক, ঘুরে যেতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের লেদু রাম তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে।
আরও পড়ুন: বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
দুপুর ২টায় তার স্ত্রীকে নিয়ে ফিরে হাসপাতাল গেটে বসে লেুদরাম বলেন, ‘অফিসারের দরজাখান বন্ধ, এইতানে বাকি ডাক্তারদের কুনো খবর নাই। দেড় ঘণ্টা বসে থাকে বাড়িত যাচু, কাইল ঠাকুরগাঁও যাবা হবে, এ ছাড়া আর কুনো রাস্তা নাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১১ জন চিকিৎসক, ৩৪ জন নার্স ও ১২৫ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা বন্ধের কারণে অনেক কর্মচারীর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে মাসের ২৫ তারিখে হিসাব রক্ষণ অফিসে চলতি মাসের বিল দাখিল করার কথা থাকলেও এলপিসির কারণে সেটি জমা হয়নি। তাই অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান হিসাব রক্ষক ওয়ালিউল্লাহ লিটু জানান, শেষ বেতনের প্রত্যয়নের (এলপিসি) অনলাইন কপি এলেও হার্ড কপি হাতে না পাওয়ায় পূজার আগে বিলটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া উপায় নেই।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাকিলা আক্তার মুঠোফোনে জানান, অফিসে নিয়মিত না আসার অভিযোগ সঠিক নয়। তা ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রধান কর্মকর্তার বদলি হলে বেতন-ভাতা নিয়ে এ ধরনের জটিলতা তৈরি হয়, আমাদের বেলাও তাই হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১৭০ জনের বিল-বেতন বন্ধ, বিষয়টি খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। তা ছাড়া অনলাইন এলপিসি দিয়ে হিসাব রক্ষণ বিল ছাড় দিচ্ছে না।
এ সমস্যা কবে সমাধান হবে- জানতে চাইলে তিনি জবাব দিতে পারেনি।
জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঝামেলা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। আমি অনেকবার বলেছি, এখন আবারও বলছি কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখার অধিকার কারো নেই।’
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
১ বছর আগে
বড়পুকরিয়া কয়লা খনিতে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধসহ সকল শ্রমিককে কাজে যোগদানে খনির প্রবেশ পথ খুলে দেয়ার দাবিতে রবিবার আবারও খনির প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিকরা।
এসময় খনি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করেছেন খনি শ্রমিকরা। উল্লেখিত দুই দফা দাবিতে গেল দু’মাস ধরে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি, এক্সএমসি এবং জেএক্সএমসির অধীনে খনিতে কয়লা তোলায় নিয়োজিত রয়েছে প্রায় এগারোশ’ দেশি শ্রমিক। করোনার ছুটিকালীন আট মাসের বকেয়া বেতনভাতার পাশাপাশি অবিলম্বে সকল শ্রমিককে কাজে যোগদানের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ এবং খনির প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। এছাড়াও তিন দফা স্মারকলিপি পেশ করেছেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, লাগাতার আন্দোলনে পবিত্র ঈদের কারণে বিরতি দিয়ে রবিবার থেকে আবারও পথে নেমেছেন তারা। ওই দুই দফা দাবির বিষয়ে কয়লা খনির ব্যবস্হাপনা পরিচালকের কাছে তিন দফায় স্মারকলিপি তুলে দিলেও দাবি পূরণে সাড়া পাননি তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের স্বার্থে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত
২ বছর আগে
ধর্মঘট প্রত্যাহার: ৩ দিন পর রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল তিনদিন পর শুক্রবার স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, বাস মালিকদের সঙ্গে রংপুর জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশের বৈঠকের পর শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর হওয়ায় তারা আবার বাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রংপুরে পরিবহন শ্রমিকরা কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘটে যান।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
২ বছর আগে
বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের কয়েক শতাধিক কর্মী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মহাসড়কে গিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে কাভার্ডভ্যান চালককে মারধর: মহাসড়ক অবরোধ
শ্রমিকরা জানায়, গত ৪-৫ মাস ধরে তারা বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ কোনও পূর্বনির্ধারিত নোটিশ ছাড়াই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ছাড়া ঈদুল ফিতরের সময় কোনো বোনাস দেয়া হয়নি বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রামে পোষাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুটি মহাসড়কে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সমস্যা সমাধান এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
৩ বছর আগে
পৌর কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মাঝে দেশের ৩২৮ পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে