প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শুধু মানুষই হাঁসফাঁস করছে না, বরং সাপের কামড়ের সংখ্যাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য দৈনিক কল উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মতে, বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহে সারা দেশে সাপের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই সময়ে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. জোবায়দুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, সাপের কামড় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাপ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা বছরের পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সাপের কামড়ে নিহতদের পরিবারের ফোন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাপ উদ্ধারের ব্যাপক অনুরোধে পাচ্ছে সংগঠনটি।
জুবাইদুর বলেন, 'এ বছর আমরা প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি জরুরি কল পাচ্ছি, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।’
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে বন বিভাগের অধীনে প্রশিক্ষিত এবং প্রত্যয়িতরাই কেবল বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান ইউএনবিকে বলেন, সাপ শীতকালে বেশি সক্রিয় থাকে, শীতকালে কম সক্রিয় থাকে।
বাংলাদেশে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের কয়েক সপ্তাহ ছাড়া সারা বছরই সাপ সক্রিয় থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাপের কামড়ের হার ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
‘বাহ্যিক তাপমাত্রার ওঠানামা সরাসরি সাপের শরীরের তাপমাত্রা এবং আচরণকে প্রভাবিত করে,’ বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।