প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ বা সাহেদ করিম, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজাদ রহমান এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অভিযুক্ত অপর দু’জন হলেন-রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শিপন আলী।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এদিন আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
২০২০ সালের ২৪ জুলাই বালু ব্যবসায়ী এস এম শিপন তিন আসামির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিপন আলী ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৫০ লাখ সিএফটি বালু সরবরাহের অর্ডার করেন। শিপন আলী বাদী পূবালী ব্যাংকের তিন চেক প্রদান করেন। এদিকে অর্ডার অনুযায়ী এস এম শিপন ৬১ লাখ টাকার বালু সরবরাহ করেন। পরবর্তীতে চেকগুলো ব্যাংক থেকে ডিসঅনার হয়। শিপন আলীর কাছে বাদী বিল দাবি করেন। দেই, দিচ্ছি বলে তাকে ঘুরাতে থাকে। পরবর্তীতে শিপন আলী জানান রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বালুর অর্ডার দেন।
আরও পড়ুন: রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারি: শাহেদের সহযোগী গ্রেপ্তার
২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাকা চাইলে সাহেদ ও মাসুদের কাছে বাদীকে নিয়ে যান শিপন। সেখানে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে প্রাণে শেষ করে দেয়ার হুমকিও দেয়। তখন বাদী নিশ্চিত হন তারা সবাই প্রতারক। বাদী বুঝতে পারেন, তারা বালু বিক্রির ৬১ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালে ৮ নভেম্বর তিন জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের পরিদর্শক আকরাম হোসেন।