প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরে বাংলাদেশ ও জাপান ৮-১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করতে পারে কারণ দুই দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ইচ্ছুক।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘৮-১০টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একটি পৃথক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আপনাকে আরও বিস্তারিত জানাব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপানে সরকারি সফরে যাবেন।
বাংলাদেশ ও জাপান উভয় সরকারই আশা করছে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জাপান ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও উপাদান যুক্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করতে চায়।
দুই দেশের এখন একটি ব্যাপক অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং জাপান এটিকে উন্নীত করতে চায়।
এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন।
জাপানে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রীকে জাপানের সম্রাট অভ্যর্থনা জানাবেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করবেন এবং তারপরে তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সম্প্রদায় সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।