সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, ইউএন সিস্টেম অব এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিংয়ের ফ্রেমওয়ার্ক এবং এ সংশ্লিষ্ট থিমেটিক এরিয়াসমূহের বিবেচনায় সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে 'ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস আন্ডার সিস্টেম অন এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং ইন ফোকাসিং ল্যান্ড অ্যান্ড ফরেস্ট অ্যাকাউন্টস ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সংক্রান্ত একটি সেল গঠন করেছে। এ সেলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন ও পরিবেশ পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রকৃতির সুরক্ষায় আমাদের আন্তরিক হতে হবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার জন্য বিবিএসের পরিবেশগত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও জানান, এসডিজি, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, পারসপেক্টিভ প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যানগুলো বাস্তবায়নে টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস এবং অন্যান্য পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রয়োজন। আর এগুলো বিবিএস প্রণয়ন করবে। বিবিএসের পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নের কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থাকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করতে হবে।
সেমিনারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ বিষয়টি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে এ কাজ সফল করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াওকুন শি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র দাস।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক সাদ্দাম হোসেন খান।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বিবিএস সদরদপ্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন।