নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছে অপর এক কিশোর। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় ফতুল্লা থানার পোস্ট অফিস রোডের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাংলাদেশ টায়ার নামক একটি কারখানার গেইটে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত যুবকের নাম মুন্না (২০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার পলাশপুরের জাহিদুলের ছেলে।
আহত কিশোরের নাম তারেক (১৬)। তারা উভয়েই ফতুল্লার লালপুরস্থ হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলসের শ্রমিক।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলের দিকে থেকে এক মেয়েসহ তিন জন পায়ে হেঁটে পশ্চিম দিকে আসছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা ছয় থেকে সাতজনের একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের বাক বিতণ্ডা হয়। তখন তারা ছয় থেকে সাতজনের গ্রুপের দুজনকে ছুরিকাঘাত করে। একজনের পায়ের রগ কেটে যায় এবং অপরজনকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা দৌঁড়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে পালিয়ে যায়। মেয়েটিও পায়ে হেঁটে পশ্চিম দিকে চলে যায়।
তবে আহত কিশোর তারেক জানান, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সে তার এক সহকর্মীকে নিয়ে পায়ে হেঁটে রেল স্টেশনস্থ বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলে আসছিল। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ গলি পার হয়ে বাংলাদেশ টায়ার মিলসের সামনে যাওয়া মাত্র মাস্ক পরিহিত তিন যুবক তাকে ও তার সহোযোগিকে চড়, থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে তার সঙ্গে থাকা মানিব্যাগসহ দুই হাজার ১০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, পরক্ষণে মুন্নাও একই রাস্তা দিয়ে স্পিনিং মিলে আসছিল। তাকেও তারা মারধর করে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাদের মিলের অন্যান্য শ্রমিকরা রক্তাক্ত মুন্নাকে জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, নিহত মুন্নাকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে শুধুই ছিনতাই না অন্য কোন কারণে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বিষয়টি ছিনতাই মনে হলেও মেয়ে ঘটিত কোন কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও ওসি জানান।